জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর চব্বিশ ঘণ্টাও কাটল না৷ ফের ধাক্কা তৃণমূলের। রাজ্য সভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো। এ দিন উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

এর ফলে রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ জন৷গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফালেইরোকে দলে নিয়ে বড় চমক দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ ফালেইরোর হাত ধরেই গোয়া কংগ্রেসে বড়সড় ফাটল ধরায় তৃণমূল৷ ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কংগ্রেস ত্যাগ করেন তিনি৷ ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতায় এসে যোগ দেন তৃণমূলে৷ ওই বছরই নভেম্বর মাসে ফালেইরোকে রাজ্যসভায় পাঠায় তৃণমূল৷
অর্পিতা ঘোষের জায়গায় তাঁকে রাজ্যসভায় সাংসদ করা হয়৷ তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতিও করা হয়েছিল৷কিন্তু গোয়া বিধানসভা ভোটের মুখেই বিতর্কের সূত্রপাত৷ ভোটে তাঁকে প্রার্থী করা হলেও লড়তে চাননি ফালেইরো৷ গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপালেও কার্যত বিপর্যয় ঘটে তৃণমূলের৷এর পর থেকেই ফালেইরোর সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের দূরত্ব বাড়ছিল৷ সম্প্রতি ঘনিষ্ঠ মহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্বীকার করে নেন, ফালেইরোকে রাজ্যসভায় পাঠানো তাঁদের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল৷ তৃণমূলের অন্দরের খবর, দলের মধ্যে একেবারেই নিষ্ক্রিয় ছিলেন গোয়ার প্রবীণ এই নেতা৷ দলীয় কর্মসূচিতেও যোগ দিতেন না তিনি৷ ফলে দলের ভিতরেও তাঁকে নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল৷ সূত্রের খবর, পদত্যাগের জন্য দলের পক্ষ থেকেই বার্তা দেওয়া হয়েছিল ফালেইরোকে৷
পদত্যাগপত্রে অবশ্য নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন গোয়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান৷তবে লুইজিনহো ফেলেইরোর পদত্যাগের পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে ভবিষ্যৎ জীবনের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে৷ একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ফেলেইরোর পদত্যাগে ফাঁকা হওয়া আসনে নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হলেই দল নতুন প্রার্থীর নাম জানিয়ে দেবে৷