পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না-২ ব্লকের পাঁইটা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বুলচন্দ্রপুর মৌজায় বিস্তীর্ণ জমির ফসল আজ কালো ছাইয়ে ঢেকে যাচ্ছে। কঠোর পরিশ্রমে ফলানো সোনালি ধান দিনদিন কালো রং ধারণ করছে রাইস মিলের নির্গত ছাইয়ের কারণে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
স্থানীয় চাষীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার দুই রাইস মিল—ভৈরবী রাইস মিল ও রাসেশ্বর রাইস মিল—থেকে নির্গত উড়ন্ত ছাই তাদের জমির ফসলে পড়ছে। অভিযোগ, ছাইয়ের স্তর জমে ফসলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে, পাতায় ও শীষে ক্ষত তৈরি হচ্ছে, এবং ফলনে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।

চাষিদের কথায়—
“এত টাকা খরচ করে চাষ করি, সার-ওষুধ দিই, শ্রম দিই। কিন্তু রাইস মিলের ছাইয়ে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ জানালেও কেউ শুনছে না।”
একাধিকবার গ্রামবাসী ও চাষীরা রাইস মিল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনো সমাধান মেলেনি বলে দাবি। মিলের চিমনি থেকে বের হওয়া ছাই প্রতিদিনই ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের চাষের জমিতে। এতে ধান ও অন্যান্য ফসলের সরাসরি ক্ষতি হচ্ছে।

এ বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধিরা রাইস মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, অভিযোগ পাওয়া যায়—
মিল কর্তৃপক্ষ সরাসরি দেখা করতে অস্বীকার করেন।

ফলে কৃষকদের ক্ষোভ আরও বেড়ে উঠেছে। তাদের দাবি, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন ও পরিবেশ দপ্তরকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। নইলে চাষ করে সংসার চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।

পরিবেশ দূষণ, কৃষিক্ষতি ও স্থানীয় মানুষের ভোগান্তি—সব মিলিয়ে বুলচন্দ্রপুরে রাইস মিলের ছাইয়ের দাপট এখন বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চাষীরা একটাই দাবি তুলছেন—
“মিল চলুক, কিন্তু আমাদের ফসল বাঁচিয়ে।”








