উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: সুন্দরবনের ১৩ টি ব্লক নিয়ে দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলায় ২৯ টি ব্লক।আর দ্বীপাঞ্চল বেষ্টিত এই জেলায় এবার বিদ্যুতের সমস্যা মেটাতে একাধিক সাব স্টেশন তৈরির কাজে হাত দিলো জেলা গ্রামীন বিদ্যুৎ নিগম।জেলার সব জায়গায় ৩৩/১১ কেভি সাব স্টেশন তৈরি হচ্ছে। ফলে বছর খানেকের মধ্যে বিদ্যুতের সমস্যা দূর হবে পুরো জেলা জুড়ে।উস্থির হটুগঞ্জ, মগরাহাটের শেরপুর, রায়দিঘির নন্দকুমারপুর, বারুইপুরের কুমোরহাট,বাসন্তীর ঝড়খালি, ক্যানিংয়ের হেরোভাঙা, মৌখালির মতো জায়গাতেও এই সাব স্টেশন তৈরি হবে।
ফলে প্রান্তিক এলাকাতেও পৌঁছে যাবে বিদ্যুৎ।অপরদিকে গোসাবার ছোট মোল্লাখালিতেও হবে নতুন সাব স্টেশন। এর জন্য গোমোর ও বিদ্যাধরী নদীর উপর দিয়ে মোট ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তার যাবে।ছোট মোল্লাখালির ওই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুতের পোল বসানোর কাজ জোরকদমে চলছে।জয়নগর বিধানসভার বকুলতলা থানার বেলে দূর্গানগর পঞ্চায়েত এলাকায় ইতিমধ্যে এই সাব স্টেশনের কাজ জোরকদমে চলছে।জয়নগর থানার ধোষায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ঠিক রাখার জন্য একটি অস্থায়ী সাব-স্টেশন তৈরি করা হয়েছে।

আরও নতুন সাব স্টেশন নির্মাণের জন্য শীঘ্রই টেন্ডার ডাকা হবে বলে বিদ্যুৎ দফতর সূএে জানা গেল।দফতর সূত্রে এ ও জানা গেল, কুলতলির মনিরতট এলাকায় এই কাজ শুরু হয়ে গেছে।লো-ভোল্টেজ ও লোডশেডিংয়ের সমস্যা এড়াতে কুলতলির মৈপীঠের দেবীপুর বাজারের কাছে সাব-স্টেশন নির্মাণের জন্য জমি পাওয়া গিয়েছে।
কয়েকটি জায়গায় দ্রুত কাজ শুরু হবে। গোসাবার ছোট মোল্লাখালিতে সাব স্টেশন নির্মাণের জন্য প্রথম পর্যায়ে রাজাপুর থেকে কচুখালি গোমোর নদীর উপর দিয়ে তার নিয়ে যাওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে কচুখালি থেকে বড় মোল্লাখালি বিদ্যাধরী নদীর উপর দিয়ে ওই তার যাবে। ফলে জেলার সর্বত্র পরিষেবা মিলবে।আর এই সাব স্টেশন গুলি চালু হয়ে গেলে দক্ষিন ২৪ পরগনায় আর বিদ্যুৎ এর কোনো সমস্যা থাকবে না।







