রথীন রায়:- দেদার অর্থ তছরুপ ! বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতারণার ঘটনায় বিরোধীদের এককাট্টা হতে দেখা দিয়েছিল ! বিভিন্ন জনসভা থেকে তীব্র ধিক্কার শুনতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারকে ! রাহুল থেকে কেজরিওয়াল, অখিলেশ থেকে মমতা সকলেই একযোগে প্রধানমন্ত্রী কে প্রতারকদের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনেন ! করোনা আবহে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে দেশের অর্থনীতি ! এর আগে থেকেই অবশ্য দেশ ছেডেছেন একাধিক শিল্পপতিরা !

কোটি কোটি টাকার ঋণের বোঝা তাদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল ! তবে এতদিনে টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি ! তদন্ত চলছে, এখনও ১৮ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র বিজেপি শাসিত সরকার ! এছাড়াও বিদেশ থেকে ৯৬৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ! অর্থাৎ যে পরিমাণ টাকা এই তিন জন প্রতারণা করে দেশ থেকে পালিয়েও রক্ষা পাচ্ছে না, আপাতত ৮০ শতাংশের বেশি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি ! বিজয় মাল্য, নীরব মোদী ও মেহুল চোক্সী মামলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি অন্তত ১৮ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করেছে !
বকেয়া টাকা না মিটিয়ে নানান সমস্যায় পড়তে হয় গ্রাহকদের ! ডমিনিকার জেলে বন্দি রয়েছেন চোক্সী ! উল্লেখ্য, এই তিনজনের স্থাবর সম্পত্তি নিলামে রেখেই উঠে এসেছে বড় পরিমাণ অর্থ ! ইতিমধ্যেই সিবিআই এবং ইডি তিন পলাতক শিল্পপতির বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে ! গত বছরে অবশ্য অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের কারণে সরকারি ব্যাঙ্কগুলি থেকে ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি উদ্ধার করা হয়েছে ! এখনও ওই তিনজন ছাড়া হবে না ! মোট ৯ হাজার কোটি টাকা বকেয়া ছিল বিজয় মাল্যর ! যখন বিরোধীরা ভোটের আগে চমক বলে পাস্ কেটে যাচ্ছেন, তখন পদ্ম গোষ্ঠীর দাবি “মোদী আছে মানেই সবকিছু সম্ভব” !!