প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১১ জুন

রাজ্যের কোথাও আর অশান্তির ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। কেউ কোথাও অশান্তি বাঁধানোর
চেষ্টা করলে কড়াহাতে পুলিশকে তা মোকাবিলা করতে হবে। শনিবার নবান্ন থেকে এই বার্তা আসার পরেই পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ বিকাল থেকেই শুরু করে দিল এলাকা ডমিনেট এর কাজ ।সেই মত কোথাও কোথাও পুলিশ ফোর্স বাইকে চড়ে ঘুরে এদিন এলাকার সবাইকে শান্তি শৃঙ্খলা বজার রাখার বার্তা দিল ।আবার কোথাও পুলিশ ফোর্স রুট মার্চ করে একই বার্তা তুলে ধরলো জনগণের কাছে ।এমনই পুলিশি তৎপরতা এদিন দেখাগেল জেলার জামালপুর ও মেমারিতে। এই সক্রিয়তা আগামী দিনেও জারি থাকবে বলে জেলার পুলিশ কর্তাদের কথায় ইঙ্গিত মিলেছেন ।
বিজেপি মুখপত্র নুপুর শর্মার অপ্রীতির মন্তব্য
নিয়ে উত্তাল হয়ে রয়েছে পশ্চিম বাংলা সহ গোট দেশ।গত তিন দিন ধরে অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে হাওড়া জেলার বিভিন্ন এলাকা। একই ভাবে আগুন ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলাতেও।
সময় গড়ানোর সাথে সাথে অশান্তির মাত্রা বাড়তে থাকায় শনিবার নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসেন রাজ্য প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্তারা ।
কড়া হাতে অশান্তি রোখার জন্য পুলিশ কে নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশ পেয়েই অতিসক্রিয় হল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ ।
এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিন)সুপ্রভাত চক্রবর্তী
এদিন বিকালে জামালপুর থানার ওসি রাকেশ সিং সহ বিশাল পুলিশ বাহিনিকে সঙ্গে নিয়ে
বাইকে চেপে ঘুরে এলাকা ডমিনেটে নামে ।

জামালপুরের কারালা বাজার , আরাশুল সহ
কয়েকটি এলাকা ঘুরে পুলিশ কর্তারা শান্তি শৃঙ্খলা বজার রাখার বার্তা দেন । পাশাপাশি
টহলদারির মধ্য দিয়েই পুলিশ কর্তারা ইঙ্গিত দিয়ে দেন বাংলার সম্প্রতির পরিবেশ কে নষ্ট করার জন্য কেউ অশান্তি পাকাতে চাইলে তাঁর
বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসডিপিও
সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন , শান্তি শৃঙ্খলা বজায়
রাখা জন্য বর্তা দিতেই এই টহলদারি । শান্তি
শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যাপারে পুলিশ দায়বদ্ধ
। এই ব্যাপারে পুলিশ যে কঠোর মনোভাব নিয়ে ফেলেছে সেটা এদিনের পদক্ষেপ থেকেই বুঝে যাবে ক্রিমানালরা। এসডিপিও এদিন সবাইকে শান্তি বজার রাখার বার্তাও দেন ।