আজিজুর রহমান , গলসি
মিলের গাফিলতিতে নষ্ট হচ্ছে চাষের ধান, বিক্রির দাবীতে বিক্ষোভ চাষিদের। নিজের উৎপাদিত ধান বিক্রয়ের দাবীতে সকাল থেকেই উত্তাল স্থানীয় ভদ্রেশ্বর রাইস মিল চত্বর। এদিন গলসি ১ নং ব্লকের পারাজ অঞ্চলের শতাধিক চাষি জড়ো হন ওই মিলে। তারপরই শতাধিক চাষি বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঘটনার খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। স্থানীয় চাষি মিন্টু সাম বলেন, প্রতি সিজনে ভদ্রেশ্বর রাইস মিল জমিতে পচা জল ঢুকিয়ে এলাকার পাঁচ সাতশো বিঘা জমির ধান নষ্ট করে দিচ্ছে।
ভূগর্ভ থেকে প্রতিদিন গ্যালন গ্যালন জল তুলে এলাকার জলস্তর নিচে নামিয়ে তাদের পানীয় জলের সমস্যায় ফেলছে। মিলে ব্যবহারের পর পচা বজ্য জল পাইপের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী সেচ ক্যানেলে ও জমিতে ছেড়ে দিচ্ছে। এরজন্য এলাকার পরিবেশের সাথে সাথে কৃষি জমির ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। আর এক চাষি আলি আহম্মেদ, ফলনের সময় জমিতে ভদ্রেশ্বর রাইস মিলের ছাই উড়ে এসে ধানের ফলনের ব্যাঘাত ঘটেচ্ছে।

জমিতে বেশিবেশি চাল বিহীন ধানে উৎপাদিত হচ্ছে। আর তাতেই বিঘাপতি ফলন কমে সর্বশান্ত হচ্ছেন তারা। পাশাপাশি মিলের ছাই ও ধুলোগুড়ো পার্শ্ববর্তী গ্রামে উড়ে গিয়ে বায়ুদূষণ ছড়াচ্ছে। তারদাবী, নিত্যদিন গুড়ো ধুলে উড়ছে ২ নং জাতীয় সড়কে। ফলে পথচারী থেকে যানবহন চালক ও স্থানীয়রা বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন। কখনও কখনও ছাই ও গুড়ো উডে চোখ নষ্ট করে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। যেহেতু ওই মিলের জন্য এলাকার বহু চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সেখ বাদশা আলমের দাবী মিলের পাশেই দশ বিঘা জমি আছে। সেই ওই ধান নষ্ট করছে তাই ভদ্রেশ্বর মিলকে তাদের উৎপাদিত ধান কিনতে হবে এমনই দাবীতে অনড় তিনি এবং সকল চাষি।
তবে এক্ষেত্রে সরকারী সহায়ক মুল্যের ছাড়াই ধান দিতে চান তারা সব চাষি। সে মতো তাদের সাথে বসে কথার বলার প্রতিশ্রুতি দিলেও পনেরো দিন ধরে তাদের ঘোরাচ্ছেন। তার সাফ কথা মিল কতৃপক্ষ একটি ন্যয্য দাম নিধারন করে তাদের ধান কিনুক নাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলন করবেন। পাশাপাশি তারা সকলে মিলে মিলের বজ্য জল ও ছাই বাইরে ফেলা বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকিও দেন।


তবে এই বিষয়ে মিলের ম্যানেজার বিগুরাম খাঁ বলেন, সরকারী সহায়ক মুল্যের ছাড়া সরাসরি চাষিদের থেকে ধান কেনার বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। ওই বিষয়ে তাদের যে মিল অ্যাসোসিয়েশন আছে তারা বলতে পারবেন। তবে সরকারী যে নির্দেশ আছে সেই নির্দেশ মেনে তারা চাষিদের থেকে ধান কিনবেন।