উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, গঙ্গাসাগর: সামনেই গঙ্গাসাগর মেলা।আর এবার গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে মুড়িগঙ্গা নদী পারাপারের জন্য ব্যবহার করাহবে ইসরোর প্রযুক্তি। গঙ্গাসাগর মেলার সময় মুড়িগঙ্গা পারাপারের জন্য এ বার ইসরোর বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হবে।দ:২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুণ্যার্থীরা যে সব ভেসেল এবং বার্জে চেপে মুড়িগঙ্গা পারাপার করবেন তাতে ইসরোর আবিষ্কৃত এক ধরনের ডিভাইস বসানো থাকবে।
সেই ডিভাইসকে কাজে লাগিয়ে অ্যাপের মাধ্যমে ভেসেল ও বার্জের সঠিক অবস্থান জানা যাবে।একই সঙ্গে জলের নাব্যতাও জানতে পারবেন ভেসেলের চালক কিংবা সারেঙরা।অতিরিক্তকুয়াশা হলেও অনেক সময় মুড়িগঙ্গায় ভেসেল চলাচলে সমস্যা হয়। কিন্তু নয়া ব্যবস্থায় কুয়াশাতেও সচল থাকবে ভেসেল চলাচল। এর জন্য প্রতিটি ভেসেল এবং বার্জের চালক ও সারেঙদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কন্ট্রোল রুম থেকে স্যাটেলাইট ফোনের সাহায্যে তাঁদের সঙ্গে সরাসির যোগাযোগ রাখবেন প্রশাসনের একাধিক আধিকারিকরা।বিপদের সঙ্কেত পেলেই সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছে রেসকিউ বোট।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর,গঙ্গাসাগর মেলার আগে মুড়িগঙ্গা নদীতে পলি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। ড্রেজিংয়ের জন্য খরচ হবে প্রায় ২২ কোটি টাকা। কুয়াশার মোকাবিলায় মুড়িগঙ্গা নদীতে ইলেকট্রিক টাওয়ারে প্রায় ৬০০টি ফগ লাইট, লেজার লাইট-সহ ৫ রকমের লাইট লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বিমানবন্দরে যে মুভিং লাইট ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেই লাইটও এখানে লাগানো হবে। অস্ট্রেলিয়ার অত্যাধুনিক ফগ লাইট ব্যবহারেরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবার।হাওড়া, ধর্মতলা এবং শিয়ালদহ থেকে তীর্থযাত্রীরা যে সব বাসে করে গঙ্গাসাগর যাবেন তাতে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
কন্ট্রোল রুম থেকে জিপিএস ট্র্যাকিংয়েরর মাধ্যমে সমস্ত যানের উপর নজরদারি চালানো হবে।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেল, গত কয়েক বছর গঙ্গাসাগর মেলার সময় কুয়াশার কারণে মুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রী পারাপারে খুবই সমস্যা হয়েছে।ফলে কাকদ্বীপের লট নম্বর আট থেকে সাগরের কচুবেড়িয়া জেটিঘাটে পৌঁছাতে তীর্থযাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো। কাঁধে, পিঠে ও মাথায় বড় বড় ব্যাগ নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হতো যাত্রীদের।আসা করা যায়, এ বার আর সেটা হবে না।তাদের এই ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে না।
সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা বলেন,জোরকদমে গঙ্গা সাগর মেলার প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যেই পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। ডিসেম্বর মাসের শেষে কিংবা নতুন বছরের শুরুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেলার প্রস্তুতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে যেতে পারেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।আর সব মিলিয়ে জোর কদমে কাজ চলছে গঙ্গা সাগর মেলার।








