আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের বসানো বিনে পয়সার হাট থেকে খাদ্যসামগ্রী পেলেন ৭০ টি নিরন্ন পরিবার

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

 

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ৯ মে

পুলিশের বসানো বিনে পয়সার হাট থেকে
খাদ্য সামগ্রী পেলেন দুঃস্থরা । শুনতে অবাক লাগাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবেই শনিবার দুঃস্থদের জন্য এমন বিনে পয়সার হাট বসিয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম থানার পুলিশ । আর পুলিশের বসানো হাট থেকে বিনে পয়সায় ব্যাগ ভর্তি খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাসি মুখেই বাড়ি গেলেন দিন আনা দিন খাওয়া নিরন্ন মানুষজন। পুলিশের এই মহানুভবতার তারিফ না করে পারেন নি আউসগ্রামের বাসিন্দারা ।

আউসগ্রাম থানা সংলগ্নন মাঠে এদিন বেলায় বসে বিনে পয়সার হাঠ ।আউসগ্রামে সচারচর যেমন হাট বসে তার সঙ্গে পুলিশের বসানো হাটের কোন অংশেই মিল ছিলনা ।এই হাটের গ্ল্যামারটাই ছিল আলাদা । রীতিমতো সরকারী উর্দি পরে হাটে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে বসেছিলেন পুলিশ কর্মী ও অফিসাররা । আর খাদ্য সামগ্রী গ্রহিতারা ছিলেন একেবারেই ধোপদূরস্ত হীণ নিরন্ন মানুষজন।স্বাস্থ্য বিধি মেনে পুলিশের হাট থেকে এলাকার ৭০টি নিরন্ন পরিবারের সদস্যরা নিয়ে গেলেন চাল , ডাল , আলু , তেল বিস্কুট ,লবন ও ডিম ।কঠিন পরিস্থিতিতে এলাকার নিরন্ন মানুষজনের জন্য খাদ্যের সংস্থান করতে পেরে খুশি পুলিশ কর্মীরাও ।

আউসগ্রাম থানা সূত্রে জানা জানিয়েছে
, স্থানীয় কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কিছু মানুষ রেশন পাচ্ছেন না।কারন তাঁদের কারুর রেশন কার্ড হারিয়ে গেছে । আবার কেউ নতুন কার্ডের জন্য আবেদন করলেও এখনও রেশন কার্ড হাতে পান নি । মূলত এই রকম পরিবারের গুলির অসহায়তার কথা জানতে পেরেই আউসগ্রাম থানার পক্ষথেকে বিনে পয়সার হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।

এদিন বিনে পয়সার হাটের তদারকিতে থাকা ডিএসপি-ডিএনডি অরিজিৎ পাল চৌধুরী বলেন ,পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষথেকে
এদিন এমন মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে ৭০টি পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে ।আগামী দিনে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আবারও এমন কর্মসূচি নেওয়া হতে পারে ।

See also  কিসের কোয়ারেন্টাইন, বাড়ি থেকেই তো খাওয়ার দিয়ে যাচ্ছে, সেই তো সংস্পর্শে চলে এলাম প্রশ্ন পরিযায়ী শ্রমিকের।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি