দেখতে কমলালেবুর মতো। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ একটি রসালো ফল মাল্টা। ফলটি বাংলাদেশের ভূমিতে চাষ হয়। এবার সেই মাল্টার পরীক্ষামুলক চাষ শুরু হলো পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকে।বর্তমানে বাইরে থেকে আমদানি হয়ে আসা মাল্টা ফল বাজারে কেজি প্রতি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়। কিন্তু এখানে উৎপাদন হতে শুরু করলে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে মিলবে বলে জানিয়েছেন শান্তনুবাবু।
এক বিঘা জমিতে চাষ করতে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। এই চাষে রাসায়নিক সারের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। ফলে অল্প টাকায় চাষিরা মাল্টা ফল চাষ করে আগামীতে খুবই লাভবান হতে পারে বলে জানাচ্ছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।এবার এই চাহিদাকে মাথায় রেখেই ৫০ টি মাল্টা চারা লাগিয়ে পরীক্ষামুলক চাষ শুরু করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি তথা জামালপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাহাবুদ্দিন মন্ডল।
পরীক্ষা চাষে তিনি সফল হয়েছেন।জামালপুরের মাটিতেই তিনি ফলাতে পেরেছেন রসালো সুস্বাদু মাল্টা।সাহাবুদ্দিন বাবু জানিয়েছেন তিনি বিভিন্ন আর্টিকেল ও প্রতিবেদনে মাল্টা চাষের ভবিষ্যৎ ও চাহিদা সম্পর্কে জেনেছেন কিন্তু জামালপুরের চাষীরা আজও ধান আলুর উপরেই আস্থা রেখে আছে তাই নতুন প্রজন্মের চাষীদের দিশা দেখানোর জন্যই তিনি পরীক্ষামূলক পাল্টা চাষ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি মাল্টা বাগান করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।একেবারে ব্যক্তিগত উদ্যোগেই তিনি মাল্টা চাষের কাজ শুরু করেন তবে লক্ষ্যটা
মহৎ।গ্রামীণ যুবসমাজকে কৃষিকাজে নতুন দিশা দেখানোই তাঁর লক্ষ্য। এর আগে জামালপুরের মাটিতে আশ্চর্যজনকভাবে ড্রাগন ফলের চাষ করে রাজ্যজুড়ে সারা ফেলেছিলেন তরুণ এই নেতা আবার যুব সমাজকে আত্মনির্ভর হওয়ার পথ বাতলে দিতে মাল্টা চাষের পরিকল্পনা নিয়ে তাক লাগালো।