লকডাউন চালু হবার পর থেকে পূর্ব বর্ধমানে অনেকাংশেই কমে গিয়েছে চুরি-ডাকাতির মত অপরাধের সংখ্যা। তবে চুড়ান্ত ভাবে বেড়ে গিয়েছে সাইবার ক্রাইম। লক ডাউনের মধ্যে সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ একেরপর এক জমা পড়তে শুরু করার পরেই নড়ে চড়ে বসেছেন জেলা পুলিশের কর্তারা। জনগণকে সচেতন করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালানো হচ্ছে ।পুলিশ এমন উদ্যোগ নেওয়ায় জেলার অনেকেই সচেতন হচ্ছেন ।
পুলিশের তৈরি করা ভিডিও মাধ্যমে জনগনকে জানানো হচ্ছে ,কি ভাবে প্রতারকরা মানুষকে ঠকাচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের ভুয়ো লিঙ্ক ও মেসেজ না খোলার কথা বলা হচ্ছে । সাইবার ক্রাইমে জামতাড়া-গ্যাংয়ের নাম উঠে আসার বিয়টিও পুলিশ ভিডিও মাধ্যমে প্রকাশ্যে এনেছে ।
জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, “ লকডাউনে সাধারণ অপরাধের সংখ্যা বহুলাংশেই কমে গিয়েছে। তবে বেড়ে গিয়েছে সাইবার-অপরাধের ঘটনা ঘটনা।এই পরিস্থিতে সাইবার-অপরাধ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয় । বিশেষ ভিডিও তৈরি করে জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজে প্রচার করা হচ্ছে।“
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , সাধারণ সময়ে জেলায় গড়ে ৭০০ থেকে ৭৫০ টির মতো মামলা রুজু হয় চুরি, ছিনতাই ডাকাতি, খুন, মহিলা নির্যাতন সংক্রান্ত বিষয়ে ।করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য এবছর মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে লকডাউন চালু হয়।ওই মাসে জেলায় সাধারণ অপধের ৬৭৮টি মামলা রুজু হয়েছিল । এরপর এপ্রিল মাসে মামলা হয় ৪১৩টি । মে মাস শেষের দিকে চলে এলেও মামলার সংখ্যা চারশোর ঘর টপকাবেনা বলেই মনেকরছেন পুলিশ কর্তারা। সেই তুলনায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে সাইবার আপরাধের সংখ্যা । পুলিশের দাবি মেসেজ পাঠিয়ে , ‘লিঙ্ক’ পাঠিয়ে কিংবা ফোনকরে অনলাইনে কেনাকাটার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতাড়করা সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলছে। প্রলোভনে পড়ে কেউ “ভুয়ো লিঙ্ক’ ওপেন করামাত্রই তিনি বিকিকিনির ‘ভুয়ো’ ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়ছেন। এরপর ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডে কেনাকাটার টাকা মেটানোর সময়ে প্রতাড়করা কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । এমন প্রতাড়না ছাড়াও ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, আসানসোল ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ‘গ্যাং’ মেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে প্রতাড়নার ঘটনা ঘটাচ্ছে ।