পাঞ্জাব সীমান্তে উত্তেজনার আবহে দেশজুড়ে পেট্রোল পাম্পগুলিতে দেখা গেল আতঙ্কিত মানুষের ভিড়। জ্বালানি তেল মজুত করার হিড়িক পড়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামল ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড। রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থা শুক্রবার জানাল, দেশে এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্বালানি তেল ও এলপিজির সঞ্চয় রয়েছে।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইন্ডিয়ান অয়েলের কাছে সারা দেশেই যথেষ্ট জ্বালানি তেল এবং এলপিজির মজুত রয়েছে। আমাদের সরবরাহ লাইনও ভালোভাবে কাজ করছে। তাই ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে জ্বালানি বা এলপিজি কিনে মজুত করার কোনও প্রয়োজন নেই। আমাদের সমস্ত আউটলেটেই পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ রয়েছে।
“
ইন্ডিয়ান অয়েল সাধারণ মানুষকে শান্ত থাকার এবং অপ্রয়োজনে জ্বালানি কিনে সঞ্চয় না করার অনুরোধ জানিয়েছে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এই সহযোগিতা সুষ্ঠুভাবে সরবরাহ বজায় রাখতে সাহায্য করবে এবং সকলের জন্য যথোপযুক্ত পরিমাণে জ্বালানি পাওয়া নিশ্চিত করবে।
সংস্থাটি তাদের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লিখেছে, “শান্ত থাকার মাধ্যমে, অপ্রয়োজনীয় তাড়াহুড়ো এড়িয়ে আমাদের আপনাকে আরও ভালোভাবে পরিষেবা প্রদান করতে সাহায্য করুন। এটি আমাদের সরবরাহ লাইনগুলিকে নির্বিঘ্নে চলমান রাখতে সাহায্য করবে, সকলের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানির যোগান নিশ্চিত করবে।

“
উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া এবং কিছু সংবাদমাধ্যমে পেট্রোল পাম্পে তেল কেনার জন্য মানুষের ভিড়ের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করে। বুধবার পাঞ্জাবের সীমান্ত নিকটবর্তী এলাকাগুলিতে আতঙ্কিত নাগরিকরা পেট্রোল পাম্পে বিশাল ভিড় করে তেল ভরতে দেখা যায়। স্থানীয় পেট্রোল পাম্প মালিকরা জানিয়েছেন, মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া উদ্বেগ ও আশঙ্কার কারণে জ্বালানি তেলের বিক্রি প্রায় তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে।
এছাড়াও, গতকাল বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের বেশ কিছু অংশে ব্ল্যাক আউট করা হয়েছিল। পিটিআই সূত্রে খবর, রাত সাড়ে আটটার পর ব্ল্যাক আউট শুরু হওয়ার পরেই পাঠানকোটে বিমান হামলার সাইরেন শোনা যায়।
এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়ান অয়েলের এই বার্তা সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফেরাতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।