নওজোয়ান ভারত সভার শতবার্ষিকী উপলক্ষে ইনকালাব যাত্রার কর্মসূচি পালিত হয়। খন্ডঘোষ থানার ওয়ারী গ্রামের বীর বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের বাড়ি থেকে শুরু হয়ে বর্ধমান স্টেশনের ভগৎ সিং-এর মূর্তির সামনে সমাপ্ত হবে এই র্যালি—এমনটাই জানিয়েছে সিপিআইএমের জেলা নেতৃত্ব। শনিবার খন্ডঘোষের কুমারী গ্রামে পৌঁছে বটুকেশ্বর দত্তের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন কমরেড আভাস রায় চৌধুরী, কমরেড মীনাক্ষী মুখার্জি এবং অন্যান্য সিপিআইএম নেতৃবৃন্দ।

মঞ্চে বক্তব্যে কমরেড মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, “ইনকালাব মানে কী? ইনকালাব মানে — পাল্টে ফেলতে হবে। সাধারণ মানুষের মাথা তুলে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা নেই; সেই ব্যবস্থা বদলাতে হবে।” তিনি বটুকেশ্বর দত্তকে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে স্মরণ করে বলেন, “বটুকেশ্বর দত্ত কী চেয়েছিলেন? দেশকে স্বাধীন করতে। সেই সময়ের শাসকদের বিরুদ্ধে জনমানুষের কষ্ট কমাতে বিভিন্ন আন্দোলন করেছেন তিনি। পার্লামেন্টে বোমা নিক্ষেপের সময়ও বটুকেশ্বর দত্ত সক্রিয় ছিলেন — সেই কর্মসূচি কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্য ছিল না, বরং শাসকদের ভয় দেখানোর লক্ষ্যে ছিল”।
কমরেড মীনাক্ষী আরও বলেন, “আজ আমরা চাই পশ্চিমবঙ্গে যে ব্যবস্থা চলছে, সেটি পাল্টে দিতে হবে — জনগণের জীবনে ন্যায্যতা ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য”। পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থাকেও কাঠগোড়ায় তোলেন মীনাক্ষী মুখার্জি। তিনি বলেন গোটা ভারতবর্ষের পাশাপাশি আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থাকে জলাঞ্জলি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার এবং দেশের সরকার কোনো কাজই বাকি রাখেননি! তবে মীনাক্ষী মুখার্জির বক্তব্য এর প্রতিক্রিয়া দেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ মহম্মদ অপার্থিব ইসলাম তিনি বলেন, “যে মহিলা এইসব বক্তব্য দিয়েছেন তাকে তার বাড়িতেই রিজেক্ট করেছে। সে তার জন্মভূমি থেকেই বাতিল! তার কথা নিয়ে আমরা আবার কি সমালোচনা করব? যেখানে সে নিজের বুথে মাত্র ৪৫ টা ভোট পায় তারপরে এরা প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে ছিল ক্ষমতায়, তখন তারা এত সুন্দর কাজ করেছিল তাই তো তারা বর্তমানে ২৯৪ টা সিটের মধ্যে ২৯৪ টা সিট-ই দখল করে বসে রয়েছে। যাদেরকে মানুষ রিজেক্ট করে দেয় তাদের কথা নিয়ে আমরা কোন কিছুই কাউন্টার করতে ইচ্ছুক নই”।