আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুরু হতে চলেছে করোনার পরীক্ষা

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now
দীর্ঘ প্রতীক্ষা আর জল্পনা কল্পনার শেষে অবশেষে কোভিড-১৯ টেস্ট চালু হতে চলেছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর জেরে বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার সিংহভাগ বাসিন্দা এবং বাঁকুড়া ও হুগলি জেলার আরও কিছু এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পরীক্ষা চালুর জন্য খুব শীঘ্রই হাসপাতাল পরিদর্শনে আসছে আইসিএমআর-এর প্রতিনিধি দল। তাঁরা ঘুরে গিয়ে ছাড়পত্র দিলেই এই পরীক্ষা চালু হয়ে যাবে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

বাংলায় নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আর তা ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকেই চাইছিলেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই মারণ ভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু এই ভাইরাস পরীক্ষার জন্য যে বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন হয় তা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিল না। পরে সেই টাইম আরটি-পিসিআর যন্ত্রের খোঁজ মেলে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগে। সেই যন্ত্রই এবার পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তার জেরেই এবার এই হাসপাতালেও মিলতে পারে কোভিড-১৯ টেস্টের সুযোগ। কিন্তু তার আগে দরকার আইসিএমআর-এর ছাড়পত্র।পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তরফে জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছেন, ‘বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য অনেক আগেই আবেদন করা হয়েছিল। আগেই অনুমোদনও পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনও কারণে তা হয়নি। এবার সেই অনুমোদন এসেছে। কিন্তু কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবে কেন্দ্রীয় সংস্থা আইসিএমআর। সংস্থার প্রতিনিধি দল এসে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে চড়ান্ত অনুমোদন দেবে। কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর যন্ত্রের প্রয়োজন। যার মাধ্যমে প্যাথোজেন, বিশেষ করে ভাইরাসের জেনেটিক উপাদান জানা যায়। জেলা প্রশাসনের তরফে ওই যন্ত্রটি চাওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় তা জনস্বার্থেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তা তুলে দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে। আইসিএমআর পরিদর্শন করলেই অনুমোদন মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

See also  ১০২ বছর বয়সেও ভোটাধীকার প্রয়োগের সিদ্ধান্তে অনড় বৃদ্ধের বাড়িতে পৌঁছে ভোট নিল কমিশন

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি