ফের বিতর্কে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে দলীয় নেত্রী বেবি কোলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এক প্রবীণ ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। অভিযুক্ত নেত্রীকে ইতিমধ্যেই শোকজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

অভিযোগ, সোমবার সকালে খড়্গপুর শহরের ব্যস্ত রাস্তায় বেবি কোলে নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেত্রী প্রকাশ্যে এক প্রবীণ ব্যক্তিকে কিল, চড়, ঘুষি ও জুতোপেটা করেন। মার খাওয়া ওই ব্যক্তি অনিল দাস, এলাকায় ‘ভীম দা’ নামে পরিচিত। একসময় সিপিএমের সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি, বর্তমানে ‘আমরা বামপন্থী, খড়্গপুর’ নামে একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অনিলবাবু প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় একটি রংয়ের দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানে ঢুকেও তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। এমনকি তাঁর গায়ে রং ঢেলে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। আশ্চর্যের বিষয়, রাস্তায় বহু মানুষ উপস্থিত থাকলেও কেউই আক্রান্ত বৃদ্ধকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেননি। বরং অনেকে দাঁড়িয়ে ভিডিও করতে ব্যস্ত ছিলেন।
ঘটনার পরে গুরুতর আহত অবস্থায় অনিল দাস খড়্গপুর টাউন থানায় বেবি কোলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে খরিদা এলাকায় এক মহিলার দেওয়াল ও শৌচাগার ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে বেবি কোলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি ও অভিযোগকারিণী দুর্গা সাহু। সেই ঘটনার ‘প্রতিশোধ’ নিতেই বেবি তাঁর উপর চড়াও হন বলে দাবি অনিলবাবুর।
তবে বেবি কোলের দাবি, অনিল দাস কয়েকজন মহিলার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। টাকা ফেরত চাইলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে অশ্রাব্য মন্তব্য করেন ও মহিলাদের টানাটানি করেন। এই কারণেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অনিল দাসকে মারধর করেন।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। খড়্গপুরের তৃণমূল নেতা প্রদীপ দাস জানান, এই আচরণ দল কোনভাবেই মেনে নেবে না। অভিযুক্ত নেত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।