শহরের রাস্তাঘাট ইতিমধ্যেই জমজমাট, মণ্ডপে আলো ঝলমলে পরিবেশ, ঢাকের তালে উৎসবের উচ্ছ্বাস। কিন্তু সেই আনন্দে ভাঁটা ফেলতে হাজির আবহাওয়ার নতুন বার্তা (Weather Update)— ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে ঝড়বৃষ্টি (Durga Puja, Sashti to Dasami heavy rain)।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত শুক্রবার আরও শক্তিশালী হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে শনিবার সকালেই দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে ঢুকবে। এর প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় নামবে প্রবল বর্ষণ।

শনিবার থেকেই ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের আরও কিছু এলাকায়। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারেও নামতে পারে ভারী বৃষ্টি।
ষষ্ঠী অর্থাৎ রবিবার বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে। উত্তরবঙ্গের মালদহ, দুই দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিঙেও ভিজবে।
সপ্তমীতে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমান ভিজবে। উত্তরবঙ্গের মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও বৃষ্টি হবে।
অষ্টমীতে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূম ও দুই ২৪ পরগনায় ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও থাকবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি।
নবমী ও দশমী— দুই দিনই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে। বিশেষত দশমীতে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও ঝাড়গ্রামে। উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে নামতে পারে প্রবল বৃষ্টি।
এ সময় উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া, সমুদ্র উত্তাল। তাই ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
অর্থাৎ, পুজোয় ঢাক-ঢোল আর আনন্দে মাতবে বাংলা, তবে ছাতা আর রেইনকোট রাখতে হবে প্রস্তুত অবস্থায়।