আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

হাসিমুখে ভরল শিশু-আলয়ের দিন!রোটারি ক্লাবের ‘সক্ষম অঙ্গনারী মিশন’-এ খুশির রঙ ছোট্টদের জীবনে!

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

কৃষ্ণ সাহা, কৃষকসেতু :- পূর্ব বর্ধমান জেলার,খণ্ডঘোষের সগড়াই শিশু-আলয়ে বৃহস্পতিবার সকালটা যেন অন্য রকম ছিল। সাধারণ দিনের মতো সাদামাটা নয়—শিশুদের চোখে ফুটে উঠেছিল উচ্ছ্বাসের ঝিলিক। কারণ, এদিন রোটারি ক্লাব অফ বর্ধমান শাখার পক্ষ থেকে প্রদান করা হলো ভালোবাসার উপহার—ডিজিটাল টিভি, ডাইনিং টেবিল, চেয়ার আর পুষ্টিকর খাবার।

একচিলতে হাসি নিয়ে ছোট্টরা ভিড় করেছিল নতুন টিভির সামনে। কারও চোখে বিস্ময়, কারও চোখে খুশির দীপ্তি। যেন হঠাৎ করে তাদের দুনিয়াটা আরও বড় হয়ে গেল। এখন পড়াশোনা আর খেলার মাঝেই ভিজুয়াল লার্নিংয়ের জগতে তারা দেখতে পাবে রঙিন ছবি, নতুন গল্প।

রোটারি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ডক্টর সাইদা পারভিন আবেগভরা কণ্ঠে বলেন—
“এই বাচ্চারাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের পুষ্টি, শিক্ষা আর আনন্দের দিকটা সুরক্ষিত করা আমাদের দায়িত্ব। বৃহস্পতিবার আমরা কেবল জিনিসপত্রই দিইনি, দিয়েছি তাদের আরও সুন্দর আগামী দেখার আশা”।

ডিজিটাল টিভি আর আসবাবের পাশাপাশি বাচ্চাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্য। ব্লক চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসার লালের শর্মা জানান —
“এই উদ্যোগ শুধু শিক্ষার নয়, শিশুদের শারীরিক উন্নতির ক্ষেত্রেও এক বড় পদক্ষেপ। নিয়মিত স্পট ফিডিং-এর মাধ্যমে তাদের ওজন বাড়বে, শরীর সুস্থ থাকবে”।

দিনভর আনন্দে মুখরিত ছিল সরাই শিশু-আলয়। জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলাম জানান,
“সগড়াই শিশু আলয় যেটা আছে সেটা সক্ষম সেন্টার। এইগুলো বিশেষ বিশেষ জায়গায় রয়েছে।সরকারি উদ্যোগ তো চলছেই, পাশাপাশি রোটারি ক্লাবের এই সহানুভূতিশীল সহযোগিতা বাচ্চাদের জন্য সত্যিই প্রশংসনীয়”।

দিনশেষে ছোট্টদের মুখের হাসিই যেন সবার প্রাপ্তি। মনে হচ্ছিল—
সগড়াই শিশু-আলয়ের চার দেওয়ালের ভেতরে বৃহস্পতিবার আলো ফুটে উঠেছিল,
যে আলো পুষ্টি, শিক্ষা আর ভালোবাসার হাত ধরে নিয়ে যাবে তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের পথে।

See also  একুশে জুলাই কে কেন্দ্র করে দেয়ালে কাটুন ও ছড়ার মধ্য দিয়ে প্রচার মহেশপুর প্রাইমারি বুথের।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি