ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামে পর্যটনের গুরুত্ব বাড়াতে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের মঞ্চ থেকে বড়সড় ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঝাড়গ্রামে ৬৪ একর জায়গায় প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয় করে উত্তরবঙ্গের বেঙ্গল সাফারি আদলে তৈরি করা হবে টাইগার সাফারি। ফলে ঝাড়গ্রামে আরো চাহিদা বাড়বে পর্যটকদের কাছে। ঝাড়গ্রাম শহর লাগুয়া ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ লাইনের পাশেই রয়েছে জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক। ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলে জুলজিক্যাল পার্ক করেছিল। জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক হওয়ার পরেই উত্তরবঙ্গ থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল চিতাবাঘ। শাল জঙ্গলের মধ্যে চিতা বাঘের ভালই বংশবিস্তার হয়। পরে অবশ্য বেশ কয়েকটি পূর্ণবয়স্ক চিতা বাঘ উত্তরবঙ্গে পাঠানো হয়। সেই বিষয়টি নজরে রেখেই ঝাড়গ্রামের জঙ্গল বাঘ বসবাসের উপযুক্ত বলেই মনে করছে বনদপ্তর।

কেবলমাত্র শীত বা দূর্গা পুজো নয় বছরের সারা সময়ই পর্যটক আসছে ঝাড়গ্রামে। অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রামে শাল জঙ্গল ও পাহাড় দেখার পাশাপাশি পর্যটকদের কাছে টাইগার সাফারিও একটি চাহিদা হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী সকলে। শুক্রবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”আপনাদের এখানে ছোট্ট একটি চিড়িয়াখানা আছে তাই তো? আমি আগামী দিনের জন্য আরও পর্যটক আকর্ষণের জন্য ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানার উল্টোদিকে যে ৬৪ একর জমি রয়েছে তাতে একটা টাইগার সাফারি চালু করব ১০ কোটি টাকা দিয়ে। যাতে অনেক টুরিস্ট এসে দেখতে পায়। উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে আমরা যেভাবে করেছি সেভাবে এখানেই করে দেওয়া হবে”।

মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষনার পরে রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন,”মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে আমরা চিড়িয়াখানাকে বড় করে সাজিয়ে তুলছি। কারণ প্রতিবছর এখানে এত পরিমানে পর্যটক আসে তাদের দেখার মতন আমরা যদি জায়গা না দিতে পারি তাহলে আমার মনে হয় না তারা আর আসবে। পর্যটকদের কথা ও এলাকার মানুষের রোজগারের কথা মাথায় রেখে চিড়িয়াখানাকে বড় করার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বেঙ্গল সাফারি আদলে টাইগার সাফারি তৈরি করা হবে। আমার তরফ থেকে ঝাড়গ্রামের মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এটা দাবি ছিল আজকে পূরণ হওয়ায় আমি অত্যন্ত খুশি”।