প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- গরু-লাঙল ও মোষই এখন হয়ে উঠেছে কৃষিবিলের প্রতিবাদকারী ও সমর্থনকারীদের আন্দোলনের হাতিয়ায় । কৃষিবিলের সমর্থনে গরুর গাড়ি ও ধানের চারা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমান শহরের রাজপথে মিছিল করলো বিজেপি। ঠিক সেই সময়েই জেলার রায়নার ছোট বৈনানের মোমরেজ মোড়ে গরু-লাঙল ও মোষ নিয়ে কৃষিবিলের প্রতিবাদে পথ আবরোধ করলো তৃণমূল । এদিনই আবার জামালপুরে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলালেন হাজার হাজার মানুষ।কালের নিয়মে ব্রাত্য হয়েপড়া গরু-লাঙলই এখন হঠাৎকরে কৃষিবিলের সমর্থন ও প্রতিবাদ আন্দোলনের হাতিয়ার হয়ে উঠায় উৎফুল্ল কৃষকরাও ।
কৃষিবিলের সমর্থন ও বিরোধীতা নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূল দু’পক্ষই পূর্ব বর্ধমান জেলায় পথে নেমে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে।জেলার প্রতিটি বিধানসভা এলাকাতেই ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন । বসে নেই সিপিএম নেতা কর্মীরাও । তাদের কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভাও কৃষি বিলের বিরোধীতায় আন্দোলন শুরু করেছে ।এ দিন একই সময়ে বর্ধমান আরামবাগ রোডে রায়নার মোমরেজ মোড়ে গরু-লাঙল,মোষ ও কৃষি সরঞ্জাম নিয়ে তৃণমূল পথ অবরোধ করে ।এই পথ অবরোধ বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন রায়না ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি জুলফিকার আলি খান। একই সময়ে গরুর গাড়ি ও ধানের চারা নিয়ে কৃষিবিলের সমর্থনে শহর বর্ধমানের শুলিপুকুর থেকে বিসি রোড হয়ে কার্জন গেট পর্যন্ত মিছিল করলো বিজেপি।
এই বিষয়ে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য “ কৃষিবিল নিয়ে বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।তার প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি কৃষিবিলের
সার্থকতার বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতেই বিজেপি পথে নেমেছে । ”
অন্যদিকে এদিন কৃষিবিলের বিরোধীতায়
জামালপুরে তৃণমূলের বড় প্রতিবাদ মিছিল হয়।
মেমারি তারকেশ্বর রোডে হালাড়া মোড় থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলান হাজার হাজার মানুষ।কার্যত এই প্রতিবাদ মিছিল জন প্লাবনের রুপ নেয় । জামালপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পৌছে সেই মিছিল শেষ হয় । প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দেন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান ও কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক । মেহেমুদ খান বলেন ,’এই কৃষিবিল কার্যকর হলে কৃষকরা সর্বস্বান্ত হবে । আর ফায়দা লুটবে বৃহৎ পুঁজির বহুজাতিক সংস্থা গুলি । সেই বাস্তবটা মানুষের কাছে তুলে ধরতেই তাঁরা দলনেত্রীর নির্দেশে পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেদিয়েছেন । ’