ডিজেল, পেট্রোলের দাম ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী। এবার খরচ বাঁচাতে কেরোসিন তেলে ছুটছে বেসরকারি বাস, মিনিবাস। ডিজেলের দাম যেভাবে সেঞ্চুরি পার করেছে, তাতে বিকল্প উপায়ে না ভাবলে রাস্তা আর বাস নামানো যাবে না দাবি বাস মালিকদের। বিকল্প ব্যবস্থা বলতে কেরোসিন।
তবে এতে বাস মালিকদের কিছুটা সাশ্রয় হলেও কেরোসিনে বাস চালালে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা রয়েছে, বাসের যন্ত্রাংশের ক্ষতি হবে এবং বাসে আগুন লাগারও সম্ভাবনা থাকছে। বর্ধমান শহর, মেমারি, গুসকরা, কাটোয়া এই সব জায়গায় অল্প দূরত্বের রাস্তায় কেরোসিনের সঙ্গে মোবিল মিশিয়ে বাস-মিনিবাস চালাচ্ছেন অনেকে।
বাস মালিকদের দাবি, এক লিটার ডিজেলে একটি বাস গড়ে তিন-সাড়ে তিন কিলোমিটার চলে। সেখানে কেরোসিন দিলে বাস গড়ে আড়াই-তিন কিলোমিটার যাবে। ডিজেলের থেকে কেরোসিনের দাম অনেকটা কম হওয়ায় বাস চালানো কিছুটা সাশ্রয় হচ্ছে। এক বাস মালিক বলেন, একটি বাসে দিনে ৫০ লিটার তেল লাগে। অর্থাত্ দিনে পাঁচ হাজার টাকার তেল।
বছরে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে কেরোসিনের দাম ৮০ টাকা লিটার। অর্থাত্ প্রতিদিন তেলের খরচ চার হাজার টাকা। বছরে সাড়ে ১৪ লাখ টাকার কাছাকাছি। দেখা যাচ্ছে, বছরে প্রায় চার লক্ষ টাকার সাশ্রয় হচ্ছে। কিন্তু কেরোসিনে চালালে তো পরিবেশ দূষণ হচ্ছে? এক যাত্রীর দাবি, এখন ড্রাইভার, খালাসি নিয়ে বাসমালিকদের বাঁচার লড়াই। পরিবেশ দূষণের কথা বললে কেউ শুনবেন না।