আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

লটারি টিকিট বিক্রেতার গলার নলিকাটা দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য আউশগ্রামে

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

কার্তিক দাস বৈরাগ্য – বর্ধমান -৫ মে

নির্জন আমবাগান থেকে উদ্ধার হল এক লটারি টিকিট বিক্রেতার গলার নলি কাটা মৃতদেহ। মৃত ব্যক্তির নাম মধুসুদন বাউরি (২৮)। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম থানার ভাল্কী পঞ্চায়েতের জামতারা গ্রামে ।

মঙ্গলবার সকালে বাড়ির অদূরে থাকা আমবাগান ঘেরা নির্জন জায়গায় গলার নলি কাটা অবস্থায় যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা । এই ঘটনা জানাজানি হতেই
এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর
পেয়ে আউশগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহ উদ্ধার করে । ময়নাতদন্তের জন্য এদিনই মৃতদেহ পঠানো হয় বর্ধমান হাসপাতাল পুলিশ মর্গে। মধুসুদন বাউরিকে খুনকরা হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন দাবী করলেও তারা এদিন বিকাল পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেন নি । তবে আউসগ্রাম থানার পুলিশ লটারি টিকিট বিক্রেতার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে ,লটারি
টিকিট বিক্রেতা মধুসুদন বাউরির উপার্জন ভাল ছিল না। সংসারে অভাব ছিল ।সেই কারণে স্ত্রী প্রীতি বাউড়ির সঙ্গে তাঁর অশান্তি লেগেই থাকতো । অন্য পুরুষের সঙ্গে প্রীতি অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল বলে প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছে । মৃতার বাবা নাড়ু বাউড়ি ও মা কালি বাউরি এদিন বলেন ,বছর সাত আগের মানকরের তরুণী প্রীতির সঙ্গে তাঁর ছেলের মধুর বিয়ে হয় । তাঁদের নাবালক এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান আছে ।ছেলে ভাল রোজগার করতো না বলে বৌমার সঙ্গে অশান্তি হত । তবে সোমবার রাতে ছেলে বৌমার মধ্যে কি হয়েছিল তা জানি না। এদিন সকালে জানতে পারি বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দুরের আম বাগানে ছেলের গলার নলিকাটা রক্তাত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে । নাড়ু বাউরি বলেন ,মৃতদেহ দেখে আমার মনে হয়েছে মধুকে খুন করা হয়েছে । “

ডিএসপি -ডিএনটি অরিজিৎ পাল চৌধুরী বলেন,যুবকের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে । যুবকে খুন কর হয়েছে বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ।তদন্ত শুরু হয়েছে। সন্দেহ ভাজন দুজনকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।

 

See also  ১৪ মাস বেতন না পেয়ে আউশগ্রামের যমুনাদিঘি মৎস্যবীজ খামারের প্রোজেক্ট ইনচার্জের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ শ্রমীকদের

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি