বাংলা সংক্রান্ত নীতি আয়োগের রিপোর্টের প্রচ্ছদে অবিশ্বাস্য ভুল! পশ্চিমবঙ্গের তথ্যভিত্তিক নথিতে দেখা গেল বিহারের মানচিত্র। এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। কেন্দ্রীয় পরিকল্পনাকারী সংস্থা যদিও জানিয়েছে, এটি একটি “অনিচ্ছাকৃত ভুল” এবং তারা দ্রুত এই ত্রুটি সংশোধন করেছে বলেও দাবি করেছে। তবে এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, এই ভুলের নেপথ্যে রয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক হিসেব।
এই ইস্যুতে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের কাছে ব্যাখ্যা চান। এরপরেই ২৮ জুলাই, সোমবার কেন্দ্র সরকার একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানায়, “নীতি আয়োগের পশ্চিমবঙ্গ সংক্রান্ত বার্ষিক রিপোর্টে অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছিল। অবশ্য দ্রুততার সঙ্গে সেই ভুল শুধরে নেওয়া হয়েছে।”

তবে এই জবাবে খুশি নন তৃণমূল নেতা ঋতব্রত। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “ভুল স্বীকার করেছেন ওরা (কেন্দ্রের বিজেপি সরকার)। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হয়েছে। বাকি রাজ্যের ক্ষেত্রে হল না! এই ত্রুটি কি কাকতালীয়?” তিনি আরও বলেন, “যে সময় দেশজুড়ে বাংলাভাষী মানুষের উপর আক্রমণ শুরু হয়েছে, বাংলায় কথা বলাটা অপরাধে পরিণত হয়েছে… সেই সময় হঠাৎ নীতি আয়োগের রিপোর্টে বাংলার জায়গায় বিহারের মানচিত্র।” তাঁর মন্তব্য, “ওরা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি বললেও বাংলার বিরুদ্ধে যে রাজনৈতিক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বিজেপি সরকার। বাংলার মানুষ বিশ্বাস করতে রাজি নয় যে এটা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি।”
এই বিতর্কে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের আরেক রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই রিপোর্টের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে লেখেন, “কেন্দ্র সরকার বাংলাকে মানচিত্রের সঠিক জায়গাতেই রাখতে জানে না। এটা লজ্জাজনক। বাংলা থেকে ওদের ১২ জন সাংসদ আছে, দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাও নির্লজ্জভাবে ওরা বিহারকে বাংলা হিসাবে দেখিয়েছে।” একইসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানান।