পূর্ব বর্ধমানের দেবশালার গোবিন্দপুর গ্রামে এক দেশি নেকড়ে, স্থানীয় ভাষায় হেরোল, সম্প্রতি আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। হেরোলের কামড়ে প্রায় ১৫ জন মানুষ আহত হয়েছেন। একইসঙ্গে শিকার করেছে ভেড়া ও ছাগল। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে নেকড়েটিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
নেকড়ের হিংস্র আচরণের কারণ
জেলার বিভাগীয় বনাধিকারিক সঞ্চিতা শর্মা জানিয়েছেন, মৃত হেরোলটির ময়নাতদন্ত বর্ধমানের রমনা বাগানে হবে। র্যাবিশ বা ডিস্টেম্পারের মতো রোগের কারণে প্রাণীটি হিংস্র হয়ে উঠেছে কি না, তা পরীক্ষা করা হবে।
অন্যদিকে, প্রাণী বিশারদরা বলছেন, বনাঞ্চলের ঘাটতির কারণে খাদ্যের অভাব হেরোলকে লোকালয়ে ঢুকতে বাধ্য করেছে।
গ্রামবাসীদের প্রতিক্রিয়া
গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দারা জানান, ইদানীং হেরোল লোকালয়ে ঢুকে মানুষ ও গৃহপালিত প্রাণীদের আক্রমণ করছে। ফলে স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বেড়েছে। আক্রমণের চরম পর্যায়ে গ্রামবাসীরা নেকড়েটিকে পিটিয়ে হত্যা করে।
বন দফতরের পদক্ষেপ
বন দফতর জানিয়েছে, মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সংঘাত কমাতে জঙ্গলে পেট্রোলিং বাড়ানো হবে। গ্রামবাসীদের সচেতন করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
প্রাণী বিশারদদের মতামত
প্রাণী বিশারদ অর্ণব দাস বলেছেন, হেরোল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি। এদের হিংস্র আচরণের পেছনে রোগ বা পরিবেশগত কারণ থাকতে পারে। গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে সংঘাত এড়ানো সম্ভব।
বনাঞ্চলের ঘাটতি ও খাদ্যের অভাবে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ের দিকে এগোচ্ছে। সহাবস্থানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও প্রাণীসম্পদ রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।