উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,বারুইপুর: এখন একাধিক সমস্যায় ভুগছে বারুইপুর মহকুমা ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।এখানে নেই পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা।কয়েক দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বৈঠকে সব হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু উল্টো চিত্র উঠে এলো বারুইপুর মহকুমা ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।বারুইপুর মহকুমা ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেল, দুটি হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এখনও পর্যাপ্ত কোনো সিসি ক্যামেরা নেই।তাই নজরদারিতে ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। এমনকী, বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষীর অভাবও দেখা গিয়েছে।মাত্র ছ’জন রয়েছেন দায়িত্বে।এ ব্যাপারে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাক্তার ধীরাজ রায় বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাঁরা দেখছে।বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের ঠিক পিছনেই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। প্রতিনিয়ত কয়েক হাজার রোগীর ভিড়ে হিমশিম খেতে হয় এখানকার চিকিৎসকদের।

সুন্দরবনের মৈপীঠ, কুলতলি, জয়নগর থেকে শুরু করে সোনারপুর, মগরাহাট, বিষ্ণুপুর, বারুইপুরের মানুষজন এখানে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসেন।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেল, ২০২৪ সালে আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুনের পরে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।তৈরি হয়েছিল পুলিশ কিয়স্ক।কিন্তু যতগুলি সিসি ক্যামেরা প্রয়োজন, ততগুলি নেই। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা আছে ১৩টি ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রয়েছে ১৮টি। অর্থাৎ মোট ৩১টি।
গত বছরে হাসপাতাল পরিদর্শন করে পিডব্লুডি আইটি দপ্তর ও ডব্লুবিএমএসসিএল বিভাগ জানিয়েছিল দুটি হাসপাতালে মোট ১০৬টি সিসি ক্যামেরা প্রয়োজন।অর্থাৎ মহকুমা হাসপাতালে ৪০টি ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দরকার ৬৬টি। পাশাপাশি,গত বছরে বারুইপুর পুলিশ জেলাও সিকিউরিটি অডিট করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল, মহকুমা হাসপাতালে দরকার ৪০ জন নিরাপত্তারক্ষী। রয়েছেন মাত্র ছ’জন।
৪০ জন হলে নজরদারির কোনও খামতি থাকবে না। কিন্তু আর কোনও কাজ এগোয়নি। হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসকও বলেন, মহকুমা হাসপাতাল থেকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তায় গেট খোলা থাকে রাতে। এটা বন্ধ রাখার কথা বলা হয়ে ছিল। পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষীর অভাবের জন্যই এই সমস্যা। হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা উচিত প্রশাসনের।তবে সমস্ত বিষয় গুলি দ্রুত সমাধানের দাবি জানালো রোগীদের পরিবার।








