অনেক প্রত্যাশা থাকলেও পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করার টিকিট মেলে নি।তাই বুধবার বর্ধমান শহরে থাকা জেলাশাসকের দফতরের সামনে দাড়িয়ে কেঁদে ভাসালেন শহরের ডাকাবুকো তৃণমূল নেতা আব্দুল রব। শুধু কেঁদে ভাসানোই নয়, চোখের জল মুছতে মুছতে তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেও ফেললেন তাঁর দল তার সঙ্গে সুবিচার করলো না।আব্দুল রবের কান্না দেখে সতীর্থরা তাঁকে সান্তনা দেন। তবে প্রার্থী হতে না পারার জন্য দলের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা না করার জন্য তৃণমূলের নেতারা তাকে বার্তা দিয়েছেন ।
আব্দুল রব শহর বর্ধমানের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা । বর্তমানে তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। এদিন তিনি বলেন ,দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে রাজনীতি করছি। তৃণমূল কংগ্রেস দল করার জন্য সি পি এমের আমলে পাঁচ বার জেল খেটেছি।এতকিছুর পরেও দল তাঁর প্রতি সুবিচার করলো না ।


এদিকে প্রার্থী হতে না পেরে আব্দুল রব এদিন যখন কেঁদে ভাসাচ্ছেন সেই সময়ে বর্ধমান পৌরসভার ছয়টি ওয়ার্ডে মণোনয়ন জমা দেন ছয় জন গোঁজ প্রার্থী। তার মধ্যে আব্দুল রবের স্ত্রী তনুজা ছাড়াও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের ঘোষিত প্রার্থী চামেলী বেগমের স্বামী ইফতিকার আহমেদও রয়েছেন।
এবিষয়ে বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস জানান, এবার বর্ধমান পৌরসভার ৩৫ টি ওয়ার্ডে টিকিটের দাবিদার অনেকেই ছিলেন। কাদের প্রার্থী করা হবে সেই ব্যাপারে দলের উচ্চ নেতৃত্বই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।দল যাকে যোগ্য মনে করেছে তাকেই প্রার্থী করেছে।এই ব্যাপারে রাগ অভিমান ত্যাগ করে দলের নির্ধারিত প্রার্থীর সমর্থনে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন।
একই সঙ্গে বিধায়ক খোকন দাস জানিয়েদেন,’যাঁরা শেষ মুহুর্তেও দলের প্রার্থী প্রতীক পাবার আশায় মনৌনয়ন জমা দিয়েছিলেন তারা তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন।নির্দেল হয়ে কেউ মনোনয়ন জমা দিলে তাদের সঙ্গে কথা বলে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করা হবে’।