আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

বাঁকুড়ার পদ্ম পাড়ি দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

বাঁকুড়া :- বাঁকুড়ার পদ্ম পাড়ি দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায় । লাল মাটির দেশে প্রত্যন্ত গ্রামের পদ্মচাষিরা আশার আলো দেখছে । ইতিমধ্যেই বিপুল পরিমাণে বরাত এসেছে। উদ্যান পালন বিভাগের এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয় পদ্ম চাষিরা ।

পদ্ম ছাড়া দেবী দুর্গার আরাধনা? একেবারেই অসম্ভব। দেশ -বিদেশ সর্বত্রই মহাষ্টমীর দিন ১০৮ পদ্মফুল না হলে সম্পন্ন হবে না দেবী আরাধনা। ফলে ফি বছর শারদোৎসবের আগে সেই পদ্মের জোগানে  চরম ব্যস্ত হয়ে পড়েন পুজো উদ্যোক্তারা।

আর সেই সুযোগে এই সময়টাতে খানিক লক্ষ্মীলাভের আশায় বসে থাকেন লাল মাটির জেলার বাঁকুড়ার পদ্মচাষীরা। কিন্তু চলতি করোনা আবহে সেই আশাতেই জল ঢেলেছে। কমছে পুজোর বাজেট, চাহিদা কমছে পদ্মেরও। শুধুমাত্র মহাষ্টমীর ১০৮ পদ্ম দিয়েই পুজো সারার কথা ভাবছেন পুজো উদ্যোক্তারা।

সিমলাপালের পুখুরিয়া গ্রামের মন্মথ মাহাতো, তারক মাহাতোর সঙ্গে পদ্মের সম্পর্ক প্রায় কয়েক দশকের। নিজের পুকুর ছাড়াও বেশ কয়েকটি পুকুর লিজ নিয়ে তারা পদ্মের চাষও করে আসছেন বহু বছর ধরে। প্রতিবছরই লাভ-ক্ষতি নিয়ে কোনও রকমে উৎরে যেত সংসার।

কিন্তু চলতি করোনা আবহে সব হিসেব ওলট পালট করে দিয়েছে। ফলে গত বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে চলতি বছরে সেই লিজে নেওয়া পদ্ম চাষের জন্য পুকুরও কমিয়ে দিয়েছেন।  
পদ্ম চাষী মন্মথ মাহাতো  বলেন, অন্যান্য বারের মতো এবার তেমন পদ্মের চাহিদা নেই। মাত্র ৭০ পয়সা থেকে ১ টাকা ১০ পয়সা প্রতি ফুলে দাম পাচ্ছি।

তাঁর উৎপাদিত পদ্ম মূলতঃ মেদিনীপুর, কোলাঘাট, চাঁপাডাঙ্গা, তারকেশ্বর ও কলকাতার বাজারে যায়। তবে এবার কি অবস্থা হবে সব বিশ্বকর্মা পুজোর পর জানা যাবে বলে তিনি জানান।

তবে আশার কথা শুনিয়েছেন জনৈক পদ্ম ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ হালদার। তিনি বলেন, উদ্যান পালন দপ্তরের মাধ্যমে বিদেশে পদ্ম রপ্তানীর কথা চলছে। আর তা যদি হয় তাহলে চাষীরা ভালো দাম পাবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।

See also  ফের সাতসকালে পথদুর্ঘটনা ভাতারের মুরাতিপুরে

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি