আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের কে সচেতনতা

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

এক টানা বর্ষণ ও জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হওয়ায় বাড়তে পারে অজয় নদের জল স্তর। তাই বাসিন্দাদের সচেতন করতে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে মাইকে প্রচার শুরু করল প্রশাসন। শুক্রবার রাতে অজয় নদের জলস্তর বিপদ সীমা ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই কারণেই নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা যাতে সচেতন থাকেন এবং প্রয়োজন হলে তারা যাতে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পারেন তা নিশ্চিত করতেই মাইকে এই প্রচার চালানো হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

এ রাজ্যের পাশাপাশি পাশের রাজ্য ঝাড়খন্ডেও ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। তার ফলে ঝাড়খণ্ডের সিকাটিয়া জলাধার থেকে ষাট হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এর ফলে অজয় নদের জলস্তর বিপদসীমা ছুঁতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তার জেরে আউশগ্রামের রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পল্লীশ্রী ও গোপালপুর এলাকায় নদী উপছে জল ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন সেখানকার বাসিন্দারা।

গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণের ফলে পূর্ব বর্ধমান জেলায় দামোদর অজয় ভাগীরথী সহ শাখা নদীগুলির জলস্তর বেড়েছে। জল জমতে শুরু করেছে নিচু এলাকাগুলিতে। এখন জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়া শুরু হওয়ায় ও জল ছাড়ার পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার ভ্রুকুটি দেখা দিয়েছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে। এর ফলে জল বাড়ছে দামোদর নদে।

তবে যে পরিমাণ জল ছাড়া হচ্ছে তাতে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। তবুও খণ্ডঘোষ,রায়না ও জামালপুরের বেশ কিছু এলাকায় ভাঙন ব্যাপক আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়বে। সেক্ষেত্রে বন্যার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন।

See also  নিউজিল্যাণ্ডের কুক স্ট্রেইটে নামার লক্ষ্যে রওনা দিচ্ছেন সাঁতারু সায়নী

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি