আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

এক সময়ের মল্লরাজাদের রাজধানী ‘বিষ্ণুপুরের মোতিচুরে’র জি.আই অর্থাৎ ভৌগলিক স্বীকৃতির দাবি উঠলো

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

সঞ্জীব মল্লিক , বাঁকুড়া : ‘বাংলার রসগোল্লা’ স্বীকৃতি মিলেছে আগেই, এবার এক সময়ের মল্লরাজাদের রাজধানী ‘বিষ্ণুপুরের মোতিচুরে’র জি.আই অর্থাৎ ভৌগলিক স্বীকৃতির দাবি উঠলো। এখানকার মল্লরাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ এই ধরণের লাড্ডুর জন্ম বিষ্ণুপুরেই। তাই এই মিষ্টির জি.আই-এর এক ও একমাত্র দাবিদার বিষ্ণুপুরই। দাবি করছেন বর্তমান সময়ের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের যুক্তি বিষ্ণুপুর সঙ্গীত ঘরাণার ঐতিহ্যময় ইতিহাস সকলের জানা। আর সেই বিষ্ণুপুরকে চিনতে ও চেনাতে লোকের মুখে মুখে ঘুরতো ‘গান, বাজনা, মোতিচুর এই তিন নিয়ে বিষ্ণুপুর’।

মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী প্রশান্ত ঘোষ বলেন, মোতিচুর বিষ্ণুপুরের তৈরী বলে জানি ও মানি। একসময় এই লাড্ডু পিয়ালের বেসন থেকে বানানো হতো, এখন সেই পিয়ালের বেসন আর মেলেনা। ফলে বর্তমানে বুট আর মটরের বেসন দিয়েই তৈরী করা হচ্ছে। এই লাড্ডুর জি.আই স্বীকৃতি বিষ্ণুপুরেরই প্রাপ্য ও অবিলম্বে তা দেওয়ার দাবি জানান তিনি। একই দাবি জানান শহরের আর এক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী গৌতম মণ্ডলও।

মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের দাবিকে সমর্থণ জানিয়েছেন বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অনুপ কুমার দত্তও। তিনি বলেন, যুক্তি সঙ্গত দাবি। এখানকার ৭০ থেকে ৮০ জন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী এই লাড্ডু তৈরী করেন। প্রাচীণ ইতিহাস-সংস্কৃতি সমৃদ্ধ এই মোতিচুর লাড্ডু। জি.আই স্বীকৃতি মিললে আরো সমৃদ্ধ হবে বিষ্ণুপুর। ব্যবসায়ীদের পাশে মহকুমাপ্রশাসন আছে বলে তিনি জানান।

 

See also  আমফানে বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ’ইয়াসে’ পরবাসী গলসীর দ্ররিদ্র ব্রাহ্মন দম্পতি

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি