প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান

পরণে ধপধপে সাদা চোস্তা পাঞ্জাবী। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। পুলিশের ঘেরাটোপে তিনিই উঠলেন পুলিশ গাড়িতে। একপ্রস্থ দেখে অনেকেই তখন মনে করেছিলেন সাদা চোস্তা পাঞ্জাবী পড়া ওই বৃদ্ধ কোন রাজনৈতিক দলের বলিষ্ঠ নেতা হবেন। তবে অবশ্য এই ধারণা তাদের বেশীক্ষণ স্থায়ী হয় নি। খানিক পরেই পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশের কাছ থেকে ওই বৃদ্ধর কুকীর্তির কথা জানতে পেরে সবাই স্তম্ভিত হয়ে যান।নেতা রুপি ওই ব্যক্তির এখন শ্রীঘরের বাসিন্দা
।
কুকীর্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সত্তর বছর বয়সী ওই বৃদ্ধর নাম বিভাশ কোনার । পেশায় মদ ব্যবসায়ী এই বৃদ্ধর বাড়ি জামালপুরের হাটতলায়। সাত বছরের শিশুর উপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগে জামালপুর থানার পুলিশ রবিবার ভোররাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ ওইদিনই ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান সিজেএম আদালতে।ধৃতকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে সোমবার তাকে বর্ধমানের ’পকসো’ আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।সেই অনুযায়ী সোমবার তাকে তোলা হয় ’পকসো’ আদালতে।’পকসো’ আদালতের বিচারক ধৃত বিভাসকে জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির বাড়ি জামালপুর থানার কাছেরই একটি গ্রামে।শিশুটির মামা শুক্রবার দুপুরে মাঠে আলু বসানোর কাজ করছিল । শিশুটি তার খেতমজুর মামাকে খাবার দিতে মাঠে যায়।মামাকে খাবার পৌঁছে দিয়ে শিশুটি মাঠে খেলছিল। অভিযোগ সেই সময় বিভাস এসে শিশুটিকে কোলে চাপিয়ে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে বিভাশ তার মোবাইলে থাকা অশ্লীল ছবি শিশুটিকে দেখায়। এরপর শিশুটির উপর বিভাশ যৌন নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। বাড়ি ফিরে ঘটনার কথা শিশুটি তার মাকে জানায়। ঘটনার বিষয়ে ওইদিনই শিশুটির মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পকসো অ্যাক্টের ৬ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ অভিযুক্ত বিভাশ কোনার কে গ্রেপ্তার করে । ধপধপে সাদা চোস্তা পাঞ্জাবী পরিহিত বিভাশ আদালতে যাবার পথে যদিও দাবি করেন, ’তিনি নাকি কিছুই করেন নি’।