সৌমিত্র খাঁ-র বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা।
বিধাননগরের এমপি-এমএলএ কোর্ট বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে পুরনো একটি মামলায় তাঁকে একাধিক বার তলব করেছিল। কিন্তু তিনি একবারও হাজিরা দেননি। আর তাই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল বলে জানা গিয়েছে।

একের পর এক হাজিরার তারিখ এড়ানোয় এবার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্রর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ করল আদালত। আগামী ৯ জুলাই আদালতে হাজিরা না দিলে সেক্ষেত্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে হবে সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে। এমনই নির্দেশ দিলো এম পি, এম এল এ আদালত। বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সূত্রে জানা খুব, গতবছর ১৩ এপ্রিল সোনামুখী থানার মানিকবাজার এলাকায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের একটি বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ। অভিযোগ, সেই বিক্ষোভে উপস্থিত থেকে সোনামুখী থানার তৎকালীন আই সি সৌরদীপ্ত ভট্টাচার্যর বাবা মা তুলে গালিগালাজ করেন সৌমিত্র খাঁ।
ওইদিনই পুলিশ এর পক্ষ থেকে সোনামুখী থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়। সৌমিত্র খাঁকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিলেও সৌমিত্র খাঁ হাজিরা দেননি। এবার আদালত ৯ জুলাই এর সৌমিত্র খাঁকে সময়সীমা বেঁধে দিল। আর তিনি হাজিরা না দিলে এবার গ্রেফতার করবে তাঁকে।
তবে এই বিষয়ে সৌমিত্রের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল না করলেই বিরোধীদের নামে মামলা দায়ের হয় এবং তাঁর সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে। এই প্রসঙ্গে সৌমিত্র জানান, “আদালত কী নির্দেশ দিয়েছে আমি জানি না। আমি এখন দিল্লিতে রয়েছি। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে আইনি পদক্ষেপ করব। তবে এই রাজ্যে তৃণমূল না করলে বহু মামলা করা হয়। আমিও ভুক্তভোগী।
অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুকথা বললে আইনি পদক্ষেপ হয় না। শুধু আমরা পুলিশি পদক্ষেপের বিরোধিতা করলে আমাদের নামে মামলা করা হয়। আমি আইন মেনে চলি। রাজ্যে ফিরে আইন মেনেই যা করার করব।”












