কৃষ্ণ সাহা (খণ্ডঘোষ) :- পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ ব্লকের সগড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সগড়াই সংসদে কোভিড পরিস্থিতিতে কর্মহীন মানুষের অবস্থা নিয়ে বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে করোণা মহামারীর কারণে লকডাউন চলার পর পঞ্চম দফার আনলক পর্ব শুরু হয়েছে। এখনো পর্যন্ত বহু মানুষের কর্মসংস্থানের অভাব রয়ে গিয়েছে। মহামারীর পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বজুড়ে সেখানকার রাষ্ট্রনেতারা যেভাবে তাদের দেশের মানুষদের একের পর এক পরিষেবা দিয়ে আসছেন, সে জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারতবর্ষের বর্তমান সরকার পরিষেবা দেওয়ার বদলে ধর্মের নামে রাজনীতি শুরু করেছে।
মহামারী কালীন পরিস্থিতিতে যখন সাধারন মানুষের কর্মসংস্থান এবং দু’বেলা দু’মুঠো অন্নের প্রয়োজন সেই সময় ধর্মে ধর্মে অন্তঃকলহ শুরু হলে পরিস্থিতির চরম প্রভাব পড়তে পারে ভারতবাসীর উপরে। এই পরিস্থিতিতে কোনো কোনো সময় হিন্দু ধর্ম যে অপমানিত হয়নি তা একেবারেই নয়। সেই কারণেই সগড়াই গ্রামের সমস্ত বাসিন্দাদের একত্রিত করে মুখ্যমন্ত্রীর একের পর এক উন্নয়নমূলক কর্মসূচির পাশাপাশি করোণা পরিস্থিতিতে যেভাবে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সে সম্পর্কে বিবৃতি দেওয়া হয়।
শুধু তাই নয় বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা, 100 দিনের কাজ, পরিযায়ী শ্রমিক দের 100 দিনের কাজে অন্তর্ভুক্তিকরণ, থেকে শুরু করে জেলা পরিষদ পঞ্চায়েত সমিতির প্রত্যেকটি কর্মাধ্যক্ষের সাধারণ মানুষের পাশে থাকা,আজ সবকিছু সম্ভব হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণে। প্রত্যেকটি ধর্মের তীর্থস্থানে গিয়ে সব ধর্মের ধর্মীয় আবেগকে বজায় রেখে একের পর এক জনকল্যাণমূলক কাজ করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর কাজের শরিক হয় সগড়াই অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস। তারা সব দিয়েছেন হিন্দুধর্ম ক্ষেত্র থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ধর্মের তীর্থস্থান এবং তীর্থযাত্রীদের যাতে কোনরকম অসম্মানিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। ধর্মীয় ভাবাবেগে যাতে আঘাত না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন তারা। এদিন উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান শুভেন্দু পাল এবং জেলা পরিষদের সদস্য বিশ্বনাথ রায় সহ সকল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।