আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

বর্ধমান স্টেশনে জল ট্যাঙ্ক ভেঙে বিপর্যয়ের ঘটনায় মৃত্যু হল আরও এক রেল যাত্রীর

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান

টানা চারদিন চিকিৎসাধীন থেকেও শেষ রক্ষা হল না।বর্ধমান স্টেশনে থাকা শতাব্দী প্রাচীন জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃত্যু হল আরও এক জখম ব্যক্তির । সুধীর সূত্রধর নামে ষাঠ উর্ধ্ব ওই ব্যক্তি রবিবার সকালে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান ।বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক বিপর্যয় কাণ্ডে এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল চার ।

হেরিটেজ স্টেশনের তকমা পাওয়া বর্ধমান স্টেশনে গত বুধবার বেলা ১২টার খানিক পরেই মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে যায় ।স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছেপিঠে থাকা ১৮৯০ সালে তৈরি ৫৩ হাজার ৮০০ গ্যালন জল ভর্তি ট্যাঙ্কের একাংশ আচমকা ভেঙে যায় । তখনই ভিড়ে ঠাসা যাত্রী শেডের উপর আছড়ে পড়ে বিপুল পরিমাণ জল ও ভাঙা ট্যাঙ্কের ধাতব অংশ।


ওই দিনের এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ক্রান্তি বাহাদুর (১৪) ও সোনারাম টুডু (৩৫) নামে ঝাড়খণ্ড নিবাসী দুই রেল যাত্রী এবং মেমারির হাটপুকুরের মফিজা বেগম (৩৫) এর মৃত্যু হয় । জখম হন ৩৪ জন। জখমদের সবাইকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই জখমদেরই একজন হলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির কলেজপাড়ার বাসিন্দা সুধীর সূত্রধর । যিনি এদিন বর্ধমান হাসপালেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

সুধীর সূত্রধরের ছেলে গোপাল এদিন বর্ধমান হাসপাতাল চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেম মেমারি ফেরার ট্রেন ধরবার জন্য বুধবার বেলায় আমার বাবা বর্ধমান স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময়ই আচমকাই বিকট শব্দে প্রকাণ্ড জলের প্রচুর জল সহ ট্যাঙ্কের ধাতব অংশ যাত্রী শেডে উপর আছড়ে পড়ে । শেড ভেঙে পড়ে বাবার মাথায়। গুরুতর জখম অবস্থায় বাবাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখান টানা চারদিন ধরে চিকিৎসা চললেও শেষ রক্ষা হয় নি । রবিবার সকালে বাবা হাসপাতালেই জীবন যুদ্ধে হার মানলেন“।

See also  অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু দূই মহিলার

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি