পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমার বেরুগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির। পশ্চিমবঙ্গ সামগ্রিক অঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গ্রামীণ আজীবিকা মিশনের (আনন্দধারা) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই শিবিরে অংশ নেন স্থানীয় বহু স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যা। ব্যবস্থাপনায় ছিল ডব্লিউ. বি. সি. এ. ডি. সি. কালনা-২ নম্বর প্রকল্প।
এই প্রশিক্ষণের মূল বিষয় ছিল মাশরুম চাষ। প্রশিক্ষকরা অংশগ্রহণকারীদের মাশরুম চাষের আধুনিক পদ্ধতি, বাজার চাহিদা এবং সংরক্ষণ ও বিক্রির কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অল্প খরচে এবং স্বল্প জায়গায় মাশরুম চাষ করে মহিলারা ঘরে বসেই অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার সুযোগ পেতে পারেন।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গ্রামীণ আজীবিকা মিশনের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই জেলার নানা প্রান্তে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মহিলারা ক্ষুদ্র উদ্যোগের মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এই প্রশিক্ষণ শিবিরের মাধ্যমে বেরুগ্রামের মহিলারাও নতুন সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাবেন বলে আশাবাদী আয়োজকরা।
শিবিরে উপস্থিত একাধিক মহিলা অংশগ্রহণকারী জানান, মাশরুম চাষে তাঁদের আগ্রহ প্রবল এবং এই প্রশিক্ষণ তাঁদের নতুন দিশা দেখালো। তাঁদের আশা, ভবিষ্যতে এই উদ্যোগ তাঁদের সংসারের আর্থিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতির ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আয়োজকদের মতে, আনন্দধারা কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য হলো গ্রামীণ মহিলাদের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি। তাই এমন প্রশিক্ষণ কর্মশালা আগামী দিনে আরও গ্রামে আয়োজন করা হবে।
উপস্থিত ছিলেন ব্লক কৃষি অধিকর্তা অসিম কুমার ঘোষ, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিদ্যুৎ কান্তি মল্লিক, খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অসিত কুমার বাগদি, প্রধান পিযুষ সাহা, সমাজ কর্মী সেখ লকাই সহ অন্যান্য রা।