স্কুল পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা হ্যাকের মতো অপরাধ সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব বর্ধমানে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এই কেলেঙ্কারির কারণে রাজ্যজুড়ে চলছে আলোচনা এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে তদন্তের চাপ পড়েছে।
Table of Contents:
- ভূমিকা
- ট্যাব কেলেঙ্কারি ও গ্রেপ্তারের ঘটনা
- অভিযুক্তের পরিচয় ও পুলিশের তদন্ত
- স্কুল কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
- রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে হ্যাকিংয়ের প্রভাব
- কেলেঙ্কারি সমাধানে প্রশাসনের পদক্ষেপ
- উপসংহার
ট্যাব কেলেঙ্কারি ও গ্রেপ্তারের ঘটনা
পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ মালদা জেলার বৈষ্ণব নগর থেকে ট্যাব কেলেঙ্কারিতে যুক্ত হাসেম আলি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে পূর্ব বর্ধমান আদালতে পেশ করার পর, সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
অভিযুক্তের পরিচয় ও পুলিশের তদন্ত
পুলিশ সুপার সায়ক দাস জানিয়েছেন, অভিযুক্ত হাসেম আলি ‘বাংলার শিক্ষা‘ পোর্টাল অ্যাক্সেস করে কিছু অ্যাকাউন্টে মোডিফিকেশন করেছিল। তদন্তে ব্যবহৃত মোবাইলটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে আরও কিছু ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, এবং তাদের নাগাল পেতে তদন্ত চলছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
পূর্ব বর্ধমান জেলার ৮৫ জন স্কুল পড়ুয়া ট্যাবের টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছে। জেলা শাসক আয়েশা রানী জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যে ৮৪ জনের ট্যাবের টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গেছে। যারা ভুল অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা পেয়েছিল, তারা মূলত এই প্রকল্পের সুবিধা লাভ করেছে।
রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে হ্যাকিংয়ের প্রভাব
রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ট্যাব কেনার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। তবে, হ্যাকিংয়ের কারণে বর্ধমান সিএমএস স্কুলের ৪১২ জনের মধ্যে ২৮ জন শিক্ষার্থী ট্যাবের টাকা পায়নি, যা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
কেলেঙ্কারি সমাধানে প্রশাসনের পদক্ষেপ
প্রতারণা ঘটনার প্রেক্ষিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায় সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং গোটা ঘটনাটি ডিআই, অতিরিক্ত জেলা শাসক (শিক্ষা), এবং ডিপিওকে জানান।
এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে শিক্ষার নিরাপত্তা ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা এড়ানো যায়, সেজন্য প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন।