পূর্ব বর্ধমানের রায়না দুই ব্লকে নজির গড়লেন কয়েকজন শিক্ষক। “মানুষ মানুষের জন্য”—ভূপেন হাজারিকার অমর বাণী যেন নতুন করে বাস্তব রূপ পেল তাঁদের উদ্যোগে। কাইতি গ্রামের অসহায় সিং পরিবারকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন চারচক্রের শিক্ষকরা, বিশেষ করে বিশিষ্ট শিক্ষক সৌরভ রায় এবং কাইতি হেমনলিনী বেসিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
পরিবারের প্রধান ও একমাত্র উপার্জনকারী তাপস সিং হঠাৎ সর্পদংশনে মারা গেলে অন্ধকার নেমে আসে গোটা পরিবারে। স্ত্রী রানু সিং ও দুই ছোট সন্তানের দায়িত্ব একাই বহন করতে হচ্ছিল। তার ওপর সম্প্রতি রানু সিং হঠাৎ একদিক অবশ হয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
এমত অবস্থায় মানবিক উদ্যোগ নিয়ে ওই শিক্ষকরা পৌঁছে যান পরিবারের দরজায়। রেশনসামগ্রী, শীতবস্ত্রসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশ কিছু সামগ্রী তুলে দেন রানু সিংয়ের হাতে। শুধু দান নয়—তাঁদের কর্মে ছিল গভীর সহানুভূতি আর সামাজিক দায়বদ্ধতা।
শিক্ষকদের আবেদন, “এগিয়ে আসুন, সবাই মিলে এই পরিবারের পাশে দাঁড়াই। দুই শিশুর পড়াশোনা থেমে না যাক, পরিবারটি আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরুক।”
এই সেবামূলক উদ্যোগ আবারও প্রমাণ করল—শিক্ষক শুধু বিদ্যার দাতা নন, মানবতারও পথপ্রদর্শক।








