বর্ধমান আরামবাগের ব্যস্ততম রোডটি বহুদিন ধরেই যানজট সমস্যায় ভুগছিল। এই সমস্যার মূল কারণ ছিল বর্ধমান শহরের সঙ্গে দক্ষিণ দামোদর এলাকার একমাত্র সংযোগকারী সেতু – কৃষক সেতু। প্রতিদিনই যানবাহনের চাপ এতোটা বেড়ে গিয়েছিল যে, স্থানীয় মানুষজন থেকে শুরু করে যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়িগুলোও এই যানজটের শিকার হত। তবে এবার সেই বিরক্তিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে চলেছে ছয়টি জেলার মানুষ।
দক্ষিণ দামোদর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর এবং হুগলি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন বর্ধমান হয়ে আসানসোল ও কলকাতার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতেন কৃষক সেতুর মাধ্যমে। কিন্তু একমাত্র সংযোগকারী সেতু হওয়ার কারণে এটি দিনে দিনে এতটাই ব্যস্ত হয়ে ওঠে যে যানজটের সমস্যা ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী।
- HighLight:
- কৃষক সেতুর ইতিহাস এবং বর্তমান অবস্থা
- যানজট সমস্যা ও দক্ষিণ দামোদরের মানুষদের দুর্ভোগ
- নতুন শিল্প সেতুর নির্মাণের ঘোষণা
- বিকল্প সেতুর গুরুত্ব ও উপকারিতা
- নির্মাণ কাজের সময়সীমা এবং লক্ষ্যমাত্রা
- ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক প্রভাব
এবার সেই পরিস্থিতি বদলাতে চলেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, কৃষক সেতুর পাশাপাশি দামোদর নদীর ওপর একটি নতুন ‘শিল্প সেতু’ তৈরি করা হবে। এই সেতুটি দক্ষিণ দামোদরের ছয়টি জেলার মানুষদের জন্য বিকল্প সংযোগ পথ হিসেবে কাজ করবে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষদের জন্য এটি হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থল।
বর্তমানে কৃষক সেতুর অবস্থা অত্যন্ত বেহাল, এবং এর ওপর নির্ভরতা কমাতে দ্রুত গতিতে বিকল্প সেতুর কাজ শুরু হতে চলেছে। ৫০ বছর আগে নির্মিত এই সেতুটি বর্ধমান শহরের ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে দক্ষিণ দামোদরের যোগসূত্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে নতুন ‘শিল্প সেতু‘ এবং ইডেন ক্যানেলের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯১৩ দিনের মধ্যে এই প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার শেষ তারিখ ধরা হয়েছে ৩০ জুন ২০২৭।
এই নতুন সেতুর ফলে যানজটের সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে এবং এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে এটি বড় ভূমিকা রাখবে।