প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- শিশু মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে স্বোচ্চার হলেন পরিবারের লোকজন। তা নিয়ে বুধবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চত্তরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়।পুলিশ শিশুর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ক্ষোভ বিক্ষোভ সামাল দেয় ।
পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথায় জানা গিয়েছে ,প্রসব বেদনা নিয়ে গত সোমবার ভাতারের আড়রা গ্রামের গৃহবধূ পূর্ণিমা দাস ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওইদিনই সকাল ৯ টা নাগাদ তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।জন্মের পর থেকে শিশু সুস্থ ছিল। শিশুর বাবা সুশান্ত ঘোষ জানিয়েছেন ,মঙ্গলবার রাত থেকে শিশু পুত্রের অসুস্থতা শুরু হয় । বুধবার সকালে হঠাৎতই শিশুর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তিনি ও পরিবারের লোকজন নার্সদের কাছে শিশুর অসুস্থতার কথা জানান।কর্মরত নার্সরা তখন বলেন , ডাক্তারবাবু ৯ টার সময় আসবেন । তখন দেখবেন। সকাল সাতটার সময় শিশুটির অসুস্থতা খুব বেড়ে যায় । তখন সুশান্ত বাবু ছেলেকে কোলে নিয়ে নার্সদের কাছে ফের ছুটে যান। নার্সরা তখন সুশান্ত দাসকে জানান শিশুটি মারা গিয়েছে। শিশুর বাবার অভিযোগ, নার্সরা মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি বারবার অনুরোধ করলেও তাঁর শিশু সন্তানের চিকিৎসার ব্যবস্থা নার্সরা করেনি । সুশান্ত বাবু জানিয়েছেন ,ভাতার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
শিশুর মা পূর্ণিমাদেবী জানান, জন্মের পর থেকেই তাঁরষ শিশু সন্তান ভালো ছিল। আজ সকালে হঠাৎ শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা বারবার নার্সদের ও হাসপাতাল কর্মীদের অনুনয় বিনয় করেন চিকিৎসার জন্য । কিন্তু সময়ে চিকিৎসা না হওয়ার জন্যই মারা গেল আমার প্রথম সন্তান ।
ভাতার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সংঘমিত্রা ভৌমিক বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।ভবিষ্যতে এই ধরনের শিশুমৃত্যুর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন।
শিশু মৃত্যুতে চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগ ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে
Published :