দিল্লির ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর যখন গোটা দেশ উদ্বেগে, ঠিক সেই সময় রাজস্থানের থর মরুভূমিতে বুধবার পরিচালিত হল ভারতীয় সেনার বৃহৎ যুদ্ধমহড়া ‘অখণ্ড প্রহার’। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে—দিল্লি বিস্ফোরণের আবহে কি তবে অপারেশন সিঁদুরের প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারত?
এর আগে গুজরাট সীমান্তে স্যার ক্রিক অঞ্চলে তিন বাহিনীর যৌথ মহড়া শুরু হয়েছিল, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ত্রিশূল’। সেই অনুশীলনেরই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হয় বুধবারের ‘অখণ্ড প্রহার’। এই মহড়ার লক্ষ্য ছিল সেনা, নৌবাহিনী ও বায়ুসেনার মধ্যে আরও সুসংহত সমন্বয় গড়ে তোলা। পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুরের পরবর্তী প্রস্তুতি এবং সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা যাচাই করাও ছিল এই মহড়ার উদ্দেশ্য। যুদ্ধবিমান থেকে ট্যাঙ্ক—বৃহৎ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অংশ নেয় তিন বাহিনী।
দিল্লি বিস্ফোরণের দু’দিন পর কেন্দ্রীয় সরকার এটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জঙ্গি হামলা বলে ঘোষণা করেছে। ভুটান থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার ক্যাবিনেট বৈঠকে উপস্থিত হয়ে বিস্ফোরণকে জঙ্গি আক্রমণের তকমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পহেলগাঁও হামলার সময়ই মোদি জানিয়েছিলেন, দেশের যে কোনও জঙ্গি হামলাকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মতোই বিবেচনা করা হবে। সেই অবস্থান বজায় রেখেই দিল্লি বিস্ফোরণের ৪৮ ঘণ্টা পর এটিকে জঙ্গি হামলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
কেন্দ্রের তরফে আবারও পরিষ্কার করে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি বজায় থাকবে। যার ফলে জোরাল হয়েছে জল্পনা—তবে কি আবার শুরু হতে চলেছে অপারেশন সিঁদুর?












