আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

বর্তমান বাজারে অগ্নিমূল্য সবার প্রিয় ‘পাতি লেবু’!

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

দিন কয়েক আগেও দশ টাকায় তিন থেকে চার পিস পাতি লেবু বাজারে গেলেই পাওয়া যেত৷ অনেক সময় দশ টাকায় পাঁচটি লেবুও বিক্রি হত বাজারে৷ কিন্তু গরম পড়তেই অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে পাতি লেবুর দাম৷ এখন এক পিস লেবুই বিক্রি হচ্ছে আট টাকা থেকে দশ টাকায় প্রতি পিসে !

 

জামালপুর হোক বা যেকোনো বাজার , লেবুর এই আকাশছোঁয়া দর সর্বত্রই প্রায় এক৷ একাংশ বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারে লেবুর দাম অনেকটা বেড়ে যাওয়াতেই তাঁরাও দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন৷
গরম কালে লেবুর চাহিদা এমনিতেই বাড়ে, তাই বলে এক পিস পাতি লেবু দু টাকায় বা তিন টাকায় শেষ কবে কিনতে হয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই৷ মজা করে ক্রেতাদের কেউ কেউ বলছেন, মুসম্বি লেবুর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে পাতি লেবুর দাম৷

 

এমনিতেই পেট্রোল- ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে বাজারে শাকসব্জির দাম আকাশছোঁয়া৷ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফলের চড়া দাম৷ একে রমজান মাস চলছে৷ তার উপরে রাম নবমী এবং অন্নপূর্ণা পুজো পড়ে যাওয়ায় ফলের দামও আগুন৷
খোলাবাজারে লেবুর অস্বাভাবিক দাম। পাইকারি বাজারের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য এখনই দাম কমার কোনও সম্ভাবনাও নেই, কারণ, দাম কমাতে গেলে, এক মাসের মধ্যে নতুন করে বাইরে থেকে প্রচুর পরিমাণে লেবুর আমদানি হওয়া দরকার। কিন্তু সেটার কোনও ইঙ্গিত বর্তমান বাজারে নেই বলাই চলে।

 

পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের এক খুচরো ব্যবসায়ী বলেন, “লেবুর ব্যাপক দাম বৃদ্ধির জেরে লেবু বিক্রি কমে গেছে। প্রায় অর্ধেকের বেশি লেবু বিক্রি কমে গিয়েছে। গরম পড়লেও ক্রেতারা লেবু কিনছেন না, কিন্তু যাদের একান্ত লেবুর খুব প্রয়োজন তাঁরা বাধ্য হয়ে কিছু লেবু কিনছেন। তবে তাও পরিমাণে অল্প”।
এই গরমে সারা দিন রোজা রাখার পর তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে এক গ্লাস লেবুর শরবত যেন বয়ে আনে প্রশান্তির পরশ। তাই রমজানে স্বাভাবিকভাবেই লেবুর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এ সুযোগে ইফতারের নিত্য আনুসাঙ্গিক জিনিসের দামও আকাশ ছোঁয়া ।

See also  আজকের ( ২৯-০৭-২০২০ ) পূর্ব বর্ধমানের করোনা আপডেট

 

এ বছর সেই মাত্রা ছাড়িয়েছে আরও বেশি। সাধারণ সময়ে ২ থেকে ৩ টাকায় বিক্রি হওয়া প্রতি পিস লেবু এখন প্রকারভেদে কিনতে হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকায় প্রতি পিস । তাই বাজারে এসে দাম শুনেই বড্ড তেতো মনে হচ্ছে লেবুর স্বাদ। অনেকে আবার দাম শুনেই ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে।

 

 

উল্লেখ্য, বর্তমানে চলছে নবরাত্রি ও রমজানের মতো আচার। স্বাভাবিক ভাবেই পাতি লেবুর ব্যবহার হয় যথেষ্ট বেশি, কিন্তু তাহলে হবে কি! পাতি লেবুর বাজার মূল্য এতটাই বেশি ক্রেতারা দাম শুনেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে পাতি লেবুর থেকে।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি