আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

আবাস যোজনার পর এবার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা তোলাতেও নাম জড়ালো খণ্ডঘোষের কোটিপতি তৃণমূল নেতার

krishna Saha

Updated :

WhatsApp Channel Join Now

 

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ২২ ফেব্রুয়ারি

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার পর এবার ১০০দিনের
কাজের টাকা পেয়ে বিতর্কে জড়ালেন বিত্তশালী তৃণমূল নেতা।পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির শেখ এখন যেন সরকারী যে কোন প্রকল্পের সুবিধা হাতিয়ে নেওয়ার একজন ’রোল মড়েল’ বনে গিয়েছেন।বিরোধীরাও তাঁকে নিয়ে কম গলা ফাটাচ্ছে না।কিন্তু তাতে আর কি যায় আসে।বিশাল অট্টালিকা তুল্য বাড়ির মালিক জাহাঙ্গির শেখের নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকাতে থাকা নিয়ে হইচই কম হয় নি । আর এবার বিরোধীরা প্রকাশ্যে আনলো,’২০২০ সালে ১০০ দিন প্রকল্প থেকে সরাসরি জাহাঙ্গির শেখের অ্যাকাউন্টে চারটে কাজের জন্যে মজুরি ঢুকেছে।এমনকি তাঁর পরিবারের আরও ৩ সদস্য ১০০ দিন প্রকল্প থেকে আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন।যা নিয়ে বাম ও বিজেপি উভয়েই এখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হয়েছে ।

কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলাকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না বলে প্রতিনিয়ত অভিযোগ কর যাচ্ছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতারা । এ নিয়ে তারা মিটিং মিছিলও করে যাচ্ছেন পুরোদমে।
এমন সময়ে খণ্ডঘোষের শাঁকারি ১ অঞ্চলের
তৃণমূলের সভাপতি ও পঞ্চায়েতের সদস্য জাহাঙ্গীরের কীর্তি ফাঁস হয়ে যাওয়াও তৃণমূল যেন একটু বিড়ম্বনায় পড়ে গিয়েছে।

 

বিরোধীদের অভিযোগ,“বিশাল রাজপ্রাসাদ তল্য
চারতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও জাহাঙ্গীর শেখের নাম যখন ইন্দিরা আবাস যোজনার তালিকায় ওঠে সেই সময়ে তিনি ছিলেন শাঁকারি ১ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান।সেই তিনিই আবার কোভিড অতিমারির সময় ১০০ দিন প্রকল্পের কাজ থেকে টাকা ‘তুলে’ নিয়েছেন।বিরোধীদের দাবি, শাঁকারি ১ পঞ্চায়েতের ১০০ দিন প্রকল্পের নথি অনুযায়ী, ৮ নম্বর সংসদের জন্যে ২০২০ সালের ২৮ জুন থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চারটে কাজের জন্যে ৩৯ দিন কাজের অনুরোধ জানিয়েছিল জাহাঙ্গির। কাজ পেয়েছিল ৩৬ দিন, আর ব্যাঙ্কে টাকা ঢুকেছে ৫৪০০! জাহাঙ্গিরের স্ত্রী সীমা শেখ ৩৭ দিন কাজ করে ৬৫৭০ টাকা পেয়েছেন। এ ছাড়াও তাঁর দুই আত্মীয়ও ১০০ দিন প্রকল্পে কাজ করে টাকা মজুরি পেয়েছেন।

See also  বর্ধমান পৌরসভার নতুন পৌর প্রশাসক হলেন বর্ধমান দুগাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা

 

 

গ্রামবাসীদের অনেকে বলেন, উপপ্রধান থাকা কালে জাহাঙ্গীর শেখ ১০০ দিন প্রকল্পে কাজ করছেন, এমনটা তাঁরা কোনও দিন দেখেননি। আর ওই পঞ্চায়েতের প্রধান বিলকিস সিদ্দিকি এখন বলছেন,“আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি কোনও অনৈতিক কাজ হয়ে থাকে, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

 

 

গ্রামবাসীদের অনেকে বলেন,খণ্ডঘোষের কেশবপুর ছাড়াও বর্ধমানের খাগড়াগড়ে জাহাঙ্গীরের বাড়ি রয়েছে।এমন বিত্তশালী জাহাঙ্গীরের নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে জেনে তখন গ্রামের সবাই চমকে গিয়েছিল।শুধু জাহাঙ্গীর নয় তাঁর পরিজনদের নামও সরকারী আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে বলেও গ্রামের সবাই জানতে পারে । আর এবার জানা যাচ্ছে,জাহাঙ্গীর সহ তাঁর পরিবারের লোকজন নাকি ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প থেকে টাকা পেয়েছে । অথচ গ্রামের কেউ তাদের কাউকে কোন দিন ১০০ দিনের কাজ করতে দেখে নি।

 

 

এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া পাবার জন্য একাধীকবার ফোন করা হলেও জাহাঙ্গীর শেখ ফোন না ধরায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। খণ্ডঘোষের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলাম বলেন,“বষয়টি আভার কিছু জানা নেই । তবব সত্যিই যদি জাহাঙ্গির উপপ্রধান থাকাকালে ১০০ দিন প্রকল্পের কাজ করেন, সেটা কাম্য ছিল না।”
ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের সমালোচনা করতে ছাড়ে নি সিপিএম ও বিজেপি নেতৃত্ব। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য বিনোদ ঘোষের স্পষ্ট অভিযোগ, “গরিবদের বঞ্চিত করে ওই তৃণমূল নেতা কাজ না করেই কার্যত ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা লুট করেছেন। এটা লজ্জার। “আর বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন,“ এখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের রাজত্বে কারা ১০০ দিনের প্রকল্পের প্রকৃত শ্রমিক! মৃত্যুঞ্জয়বাবু প্রশ্ন,এমন সব ব্যক্তির টাকা আটকে রয়েছে বলে দাবি করে কি তৃণমূল পথে ঘাটে চিৎকার করছে ?

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি