আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

কলেজে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার প্রতিবাদে এসএফআইয়ের পর এবার পথে নামল এবিভিপি।

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now
কৃষ্ণ সাহা
 দিন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যরা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজবাটি চত্বরে বিক্ষোভ দেখান ।তাদের অভিযোগ, বর্ধমান রাজ কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে। লক ডাউনের সময় বহু মানুষ কর্মহীন ।ফলে এই বিপুল পরিমাণ ফি দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ছাত্র ছাত্রী ও তাদের পরিবার।যদিও চলতি সময়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন কলেজে স্নাতক স্তরের প্রথম সেমিষ্টারে ভর্তির জন্য অত্যাধিক হারে ফি নেওয়ার ঘটনায় নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মসচীব প্রফেসর অভিজিত মজুমদার এব্যাপারে ২৪ দফার একটি নির্দেশিকা সমস্ত কলেজে কলেজে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

 

কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা মেনে ভর্তি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি চলতি করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যাতে কলেজ না এসেই অনলাইনেই ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকায়। এরই পাশাপাশি নির্দেশিকার ১৯নং-এ পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিটি কলেজকে অনুরোধ করা হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ভর্তির ফি যতটা সম্ভব কমানোর চেষ্টা করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই ফি গতবারের তুলনায় বাড়ানো চলবে না।উল্লেখ‌্য, আগামী ১০ আগষ্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে।

নির্দেশিকায় ২১নং বলা হয়েছে , অনলাইন ভর্তির জন্য ব্যাঙ্ক যদি কোনো চার্জ নেয় সেটি ভর্তুকি হিসাবে কলেজকে প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বস্তুত, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকা লাগু হওয়ায় খুশী ছাত্রছাত্রী মহল।এভিবিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেখানে বর্ধমান শহরের বিবেকানন্দ কলেজ নিচ্ছে ৪৪০ টাকা জেনারেল স্টুডেন্ট এর ফি হিসাবে এবং উইমেন্স নিচ্ছে ৯১৫ টাকা। সেখানে রাজ কলেজ নিচ্ছে ১৯৯০ টাকা।
চলতি করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কলেজ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও – টিউশন ফি, বিদ্যুৎ বিল, লাইব্রেরী ফি, জিম ফি, কলেজ পরীক্ষা ফি নেওয়া হচ্ছে। অথচ কলেজে কোনো পরীক্ষা হয়নি এমনকি হবার কোনো সম্ভাবনাও নেই। এরই পাশাপাশি গেমস ফি, জেনারেটর ফি, সিকুরিটি গার্ড ফি, এডমিশন প্রশেসন ফি, ইণ্টারনেট ফি প্রভৃতি বাবদ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এভিবিপির

See also  বহিরাগতরা বাংলায় এসে বাংলাকে ছোট করছে - চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি