আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

চাঁদের মাটিতে পাওয়া গেছে দুস্পাপ্য ৩ মৌলের সন্ধান’- জানালেন চন্দ্রযান-৩ মিশনের সদস্য ভাতারের অভিষেক

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

‘চাঁদের মাটিতে পাওয়া গেছে দুস্পাপ্য ৩ মৌলের সন্ধান’- জানালেন চন্দ্রযান-৩ মিশনের সদস্য ভাতারের অভিষেক

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ২৫ আগস্ট

চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে তিনটি দুস্প্রাপ্য মৌলের অস্তিস্বের সন্ধান মিলেছে। তার মধ্যে
একটি মৌল আবার পৃথিবীতে পাওয়াই যায় না ।
শুক্রবার এমনটাই দাবি করলেন,চন্দ্রযান-৩ মিশনের শরিক হওয়া পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার মুরাতিপুর গ্রাম নিবাসী শিক্ষক অভিষেক সাহা।তিনি অবশ্য দুস্প্রাপ্য মৌল গুলির নাম কিছুতেই প্রকাশ্যে আনতে চান নি।তবে এটা জানিয়েছেন, চাঁদের মাটিতে কি কি খনিজ পদার্থ এবং রাসায়নিক উপাদান রয়েছে তা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

সফল হয়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশন । বর্তমানে রোভার ’প্রজ্ঞান’ চাঁদের মাটিতে ঘুরেঘুরে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান চালাচ্ছেন।চন্দ্রযান-৩ মিশনের অংশ হয়েছিলেন এরাজ্যের বেশ কয়েকজন গবেষক । তাঁদের মধ্যে অন্যতম ভাতারের মুরাতিপুর গ্রামের বাসিন্দা অভিষেক সাহা ।তিনি বাঁকুড়া জেলার চাতরা রামাই পণ্ডিত মহাবিদ্যালয়ের ভুগোল বিভাগের প্রধান।

 

 

অভিষেক সাহার পড়াশোনা ভাতার মাধব পাবলিক হাইস্কুলে। মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফলাফলের পর তিনি উচ্চ মাধ্যমিকে বর্ধমান টাউনস্কুলে ভর্তি হন । তারপর তিনি মানকর কলেজ থেকে ভুগোল বিষয়ে বিএসসি এবং বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি করেছেন ।পাশাপাশি তিনি ’সমুদ্র বিজ্ঞান’ নিয়ে পিএইচডি করেছেন। বর্তমানে তিনি বাঁকুড়ার চাতরা রামাই পণ্ডিত মহাবিদ্যালয়ের ভুগোল বিভাগের প্রধান ।দেশ জুড়ে মেধার অন্বেষণে ’ইসরো’ থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইণ্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ রিমোট সেনসিং’ সেন্টার করা হয়েছে।বাঁকুড়ার বিশ্ববিদ্যালয়েরসেই সেন্টারের ডায়রেক্টর পদেও রয়েছেন শিক্ষক অভিষেক সাহা । সেই সূত্রেই তিনি চন্দ্রযান- ৩ মিশনে ডাক পেয়েছিলেন ।

বিজ্ঞাপন

 

 

এদিন ইসরো জানিয়েছে,রোভার পেলোড লিবস (LIBS) এবং অ্যাপক্স(APXS) চালু আছে।প্রোপালশন মডিউল, ল্যান্ডার মডিউল এবং রোভারের সমস্ত পেলোড স্বাভাবিক ভাবে কাজ করছে । অভিষেক জানান,রোভার প্রজ্ঞানের দুটি পেলোডের মধ্যে লিবসের কাজ লেজারের মাধ্যমে কোনো জায়গায় বিচ্ছুরণ ঘটানো । ওই বিচ্ছুরণ থেকে প্লাজমা তৈরি করা এবং নির্দিষ্ট খনিজ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা । আর আলফা পার্টিকেল এক্সরে অ্যাণ্ড ফটোমিটার বা অ্যাপক্স-এর কাজ হল চাঁদের মাটিতে বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে ফোটন কণা দেখে খনিজের সন্ধান করা ।
সেই মতই রোভার প্রজ্ঞান ‘ইতিমধ্যে অনেক খনিজের সন্ধান দিয়েছে । তার মধ্যে তিনটি খুবই দুষ্প্রাপ্য বলে অভিষেক সাহা জানান ।

See also  অবিশ্বাস্য দামে Redmi Note 8! সুযোগ হাতছাড়া করলে পস্তাবেন

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি