রক্ষকই ভক্ষক, খোদ তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য সহ তৃণমূলের অপর এক পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের জামালদহে। যেখানে রাজ্য সরকার প্রত্যেক বছর পরিবেশের কথা ভেবে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে বৃক্ষরোপণের জন্য, সেখানে দাঁড়িয়ে বন সৃজনের সময় রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের এহেন কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বনমোৎসবের মত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নিয়ে।

মেখলিগঞ্জ ব্লকের জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের 202 খাস বস। দ্বারিকামারিতে রয়েছে প্রায় দুই বিঘা জমি। গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে লাগানো সেই জমিতে রয়েছে একাধিক বড় বড় গাছ। রবিবার সকাল সাতটা নাগাদ জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের জমির সেই গাছ কাটায় গ্রামবাসীরা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য উমেশ চন্দ্র রায় কে আটকে রাখেন। ঘটনার খবর পেয়ে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে যায়।

অভিযোগ রবিবার সকালে সবার অলক্ষে সেখানকার কয়েকটি বড় গাছ কেটে ফেলা হয়। গাছের ডাল পালা ও গুড়ি গাড়িতে উঠানোর সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে পড়লে তারা সেই গাড়ি আটকে দেন। অবস্থা বেগতিক দেখে গাছের গুড়ি ফেলে গাড়িগুলো সেখান থেকে চম্পট দেয়। স্থানীয় বাসিন্দা প্রহ্লাদ রায় ডাকুয়া বলেন এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামীগোপাল বর্মন ও পাশের এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য উমেশ চন্দ্র রায় বেআইনিভাবে গাছটি কেটেছেন। এই গাছ বিক্রি করে দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য ছিল বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
এই ঘটনায় যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য উমেশ চন্দ্র রায়। তিনি জানান এই ব্যাপারে তিনি প্রধানকে জানিয়েছেন।
অপর পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী গোপাল বর্মন জানান, গাছ কাটার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।
গাছ কাটার বিষয়ে মাথাভাঙ্গা রেঞ্জার সজল পাল জানান বর্তমানে অরণ্য সপ্তাহ চলছে আইন অনুযায়ী ১৬ই জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর অবধি যে কোন প্রকার গাছ কাটা অবৈধ। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস ও তিনি দেন। প্রশ্ন উঠছে শাসকদলের নেতা বলেই কি তারা দাপট দেখিয়ে এই সাহস পাচ্ছে।
কোচবিহার থেকে সনৎ বর্মন এর রিপোর্ট।