বহু চর্চিত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনের ইতিমধ্যে চতুর্থ দফার সম্পূর্ণ হয়েছে। পঞ্চম দফার ভোট শনিবারেই। রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অনেক তরতাজা যুবক । সব রাজনৈতিক দলই তাদের প্রচার তুঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। সারাদেশে একদিকে হু হু করে বাড়ছে করোণা আক্রান্তের সংখ্যা । কিন্তু তবুও নেতা-নেত্রীদের রোড শো ও মিটিং মিছিল চলছে সমানতালে উপেক্ষিত হচ্ছে কোভিড বিধি।
এরই মধ্যে বাধ সাধলেন দুর্গাপুরের মানা চরের বাসিন্দা দুর্গাপদ মল্লিক । তিনি দুর্গাপুরের দামোদর মানাচর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও দামোদর এগ্রো প্রডিউসার কোম্পানির ডাইরেক্টর। দুর্গাপদ মল্লিক নালিশ করে বসলেন ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার কাছে। দেশের নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন যে প্রভিশন-১২৬ ধারা পিপলস রিপ্রেজেন্টেশন ১৯৫১ ভয়ানক ভাবে উলংঘন করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন যে একই দিনে , একই জেলার যখন এক কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে ঠিক তার উল্টো দিকে জেলার অন্য একটি বিধানসভা কেন্দ্রে চলছে হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের রোড শো ও জনসভা।
যেহেতু পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন এবার আট দফায় করা হচ্ছে, তাই একইদিনে, একদিকে ভোটগ্রহণ চলছে তো অন্যদিকে চলছে রোড শো ও হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের নির্বাচনী প্রচার। শুধু তাই নয় এই রোডশো ও নির্বাচনী প্রচার ফলাও করে সমস্ত বৈদ্যুতিক টিভি চ্যানেলে দেখানো হচ্ছে ভোট গ্রহণ চলাকালীন। এতে ভোট দিতে আসা সাধারণ মানুষ প্রভাবিত হচ্ছেন বলে তার অভিযোগ। এই নিয়ম চলছে অল্পবিস্তর সব রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই। ভারতীয় নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে একইদিনে ভোট প্রচার ও ভোটগ্রহণ ও এই সব রোডশো ও নির্বাচনী প্রচার কে বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। একই জেলার মধ্যে দুটি ভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে একদিকে ভোটগ্রহণ চলছে তো অন্যদিকে চলছে জোর কদমে ভোট প্রচার ও রোড শো তার জন্য ভোট দিতে আসা সাধারণ ভোটাররা প্রভাবিত হচ্ছেন বলে তার অভিযোগ ।
মূলত বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া থানার, কৃষ্ণনগর গ্রামের, পর্ণশ্রীর কলোনির বাসিন্দা দুর্গাপদ মল্লিক জানান তিনি ইতিমধ্যেই ইমেল মারফত দেশের ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার কর্তাদের পুরো ব্যাপারটি নজরে এনেছেন। সম্ভবত আগামি কালকে অর্থাৎ শুক্রবার তিনি কলকাতা উচ্চ আদালতে প্রধান বিচারপতির কাছে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করবেন এই বিষয়ে। দুর্গাপদ বাবুর অভিযোগ অবিলম্বে ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া যদি এইরকম রোড শো ও নির্বাচনী প্রচার বন্ধ না করে তাহলে সাধারণ ভোটাররা প্রভাবিত হবেন বা হচ্ছেন এর দায় ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া ।