বুল্টি রায়, রায়না (পূর্ব বর্ধমান): পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর , ভাতার প্রভৃতি থানায় ওসির দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। আর যে এলাকাতেই তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সামলেছেন পাশাপাশি সেই এলাকায় তাকে দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও। পুলিশ আধিকারিক হিসাবে দক্ষতার পরিচয় রাখার পাশাপাশি তার সংস্কৃতি মনস্কতা ও বিভিন্ন মানবিক পদক্ষেপের পরিচয় আগেই পেয়েছেন এলাকাবাসী। এবার থানা চত্বরের পাশে পড়ে থাকা জমিতে শিশুউদ্যান গড়ে এলাকাবাসীর প্রশংসা কুড়াচ্ছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না থানার ওসি সৈকত মণ্ডল।
রায়না থানার পাশেই প্রায় বিঘাখানেক জায়গার ওপর সৈকতবাবুর উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে একটি শিশুউদ্যান। লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ফুল ও ফলের গাছ। পুলিশের দায়িত্ব সামলেও তার এই পরিবেশবান্ধব মানসিকতার প্রশংসা করছেন এলাকাবাসী।
সৈকত মন্ডলের কথায় ,” এই উদ্যান আপামর জনসাধারণের জন্য। নিরিবিলি পরিবেশে কিছুক্ষণ থেকে মনের বিষন্নতা কাটিয়ে যেতে পারবেন। বিশেষ করে শিশুদের খেলাধুলার ক্ষেত্র কমে আসছে। তার ফলে বাড়িতে বসে বসে শিশুরা স্মার্টফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। শিশুউদ্যান থাকলে শিশুদের মধ্যে স্মার্টফোনে আসক্তি কিছুটা কমবে বলে আশা করা যায়।”
সম্প্রতি রায়না থানার উদ্যোগে তৈরি শিশুউদ্যানের ফিতে কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন। সঙ্গে ছিলেন এস ডি পি ও সুপ্রভাত চক্রবর্তী, সিআইসি সুব্রত ঘোষ।
বছর দেড়েক আগে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানায় ওসি ছিলেন সৈকত মণ্ডল। তারপর বদলি হয়ে রায়নায় আসেন। ভাতার থানায় থাকার আগে মন্তেশ্বর থানায় ওসির দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। কর্মসূত্রে যেখানেই তিনি গিয়েছেন সেই এলাকাতেই তাকে নানান সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে দেখা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে রায়না থানার দক্ষিণ দিকে প্রায় চল্লিশ শতক সরকারি জমি পড়েছিল। জায়গাটি ঝোপ জঙ্গলে ভর্তি ছিল। এখন জায়গাটির কার্যত ভোল পাল্টে দিয়েছেন সৈকতবাবু। তৈরি হয়েছে একটি শিশু উদ্যান। শিশু উদ্যানের মধ্যে রয়েছে পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা। শৌচালয় করা হয়েছে। শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য নানান ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাতের দিকে যখন রঙবেরঙের আলোয় সেজে ওঠে এই উদ্যান তখন মনে হয় ভিন্ন এক জগত। শিশুউদ্যানের ও থানা চত্বরের সীমানাপ্রাচীরের দেওয়ালে মনীষীদের বাণী তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন,” জেলা পুলিশ সবসময় মানুষের পাশে আছে। রায়না থানার ওসির এই উদ্যোগ অন্যান্যদেরও প্রেরণা দেবে।”
