রেল স্টেশনে চলছে নীল ছবি। জনবহুল স্টেশন। সকলেই দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছনোর লক্ষ্যে ছুটছেন। এই পরিস্থিতিতে আচমকাই স্টেশনের টিভিতে পর্ন চলতে আরম্ভ করল। যাত্রীরা হতবাক। রবিবার সকাল সাড়ে ন’ টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটেছে পাটনা স্টেশনে। কাণ্ড দেখে কেউ চোখ ঢাকতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। কেউ কেউ আবার হাঁ করে টিভির দিকেই তাকিয়ে থাকেন। কেউ আবার ঘটনার ভিডিয়ো করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মজা নিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ পটনার রেলওয়ে স্টেশনে রেলের তরফে লাগানো টিভিগুলিতে বিজ্ঞাপনের জায়গায় হঠাৎ পর্ন ফিল্ম চলতে শুরু করে। বর্তমানে নেটপাড়া সরগরম পাটনা স্টেশনের এই ঘটনা নিয়ে। জানা গিয়েছে, তিন মিনিটেরও বেশি সময় ধরে পর্ন ছবি চলেছে ওই স্টেশনের টিভিতে। সময় নষ্ট না করেই খবর দেওয়া হয় সরকারী রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) এবং রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) এর কাছে। জিআরপি পদক্ষেপ নিতে দেরি করায়, তৎক্ষণাৎ এই ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাঠে নামে আরপিএফ। ওই টিভি-র স্ক্রিনে বিজ্ঞাপন চালানোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা সংস্থা দত্ত কমিউনিকেশনের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করা হয়। তাদেরকে অবিলম্বে ওই ক্লিপটি বন্ধ করতে বলা হয়। যদিও ততক্ষনে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায় এবং স্টেশনে উপস্থিত মহিলা এবং শিশু সহ সকলের সামনেই চলতে থাকে পর্ণ ক্লিপটি।
জানা গিয়েছে, রবিবার বিহারের পাটনায় যে পর্ন কাণ্ডটি ঘটেছিল সেটার নেপথ্যে ছিল ‘দত্ত কমিউনিকেশন’ নামের একটি সংস্থা। যাঁদের সদর দপ্তর কলকাতায়। বিজ্ঞাপন কিংবা জনসচেতনতামূলক প্রচারের জন্য কলকাতার সংস্থাটিকে দায়িত্ব দিয়েছিল রেল। কিন্তু সচেতনতামূলক প্রচারের জায়গায় পর্ন ছবি চালিয়ে দেওয়ায় সংস্থার উপর বেজায় চটেছেন রেলকর্তারা। ঐ সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন রেল কর্তারা।
রেল সূত্রের খবর, দত্ত কমিউনিকেশনের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সব স্টেশনের টেলিভিশন সেটে দত্ত স্টুডিও-র অনুষ্ঠান সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পূর্ব রেলের মুখপাত্র বীরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, ওই সংস্থার সঙ্গে শুধু চুক্তি ছিন্ন করা হয়েছে তাই নয়, সংস্থাটিকে ব্ল্যাকলিস্ট করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আগামী দিনে যাতে কোনও সরকারি চুক্তি তাদের না দেওয়া হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে। রবিবারের ঘটনায় পাটনার স্থানীয় বাসিন্দারা ভীষণ ক্ষুব্ধ। ইতিমধ্যেই রেল কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক নালিশ গিয়েছে।