করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুল কলেজ। স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি পঠনপাঠন। গত বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আবার সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ ছিল। তারই মধ্যে মাত্র চার মাসেই রাজ্যজুড়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রার ৯০শতাংশ পূরণ হয়েছে। বহু ছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে খুশি। প্রয়োজনে নতুন করে আবারও প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা বাড়তে পারে। চলতি অর্থবর্ষে রাজ্যজুড়ে প্রায় ৩০ লক্ষ ছাত্রীকে “কন্যাশ্রী” প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
সেইমতো জেলাভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে নির্বাচনী বিধি উঠে যেতেই রাজ্যের তরফে বিভিন্ন জেলার প্রকল্প আধিকারিকদের প্রকল্পের নবীকরণ, আপগ্রেডেশন, ভেরিফিকেশনের কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাই মাত্র চার মাসে প্রায় ২৬ লক্ষ আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেন। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের মেয়েদের সরকারি সাহায্য প্রদানের উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্প। যেসব ছাত্রীর বয়স ১৩ বছরের বেশি কিন্তু ১৮ বছরের কম তাদের কন্যাশ্রী-১ এর মাধ্যমে বার্ষিক বৃত্তি হিসেবে এক হাজার টাকা দেওয়া হয়। অন্যদিকে, কন্যাশ্রী-২ এর মাধ্যমে ১৮ বছর পেরলেই এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেয় রাজ্য।