প্রাইভেট টিউটর থেকে পেশা পরিবর্তন করে ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্ট খুললেন জিওগ্রাফি অনার্স এক গৃহবধূ। লকডাউন এর কারণে টিউশন পড়ানোই ভাটা
পড়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে রোজগার।তাই আর্থিক দিক থেকে স্বাবলম্বী হতে ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্ট খুলে ফেললেন তিনি।
নতুন পেশায় সঙ্গ দিলো তার স্কুটি। কথায় আছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। সরি এখন অন্য উদাহরণ আরামবাগ 6 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শারমিনা মণ্ডল। জিওগ্রাফি অনার্স নিয়ে স্নাতক হয়েছেন এই গৃহবধূ। তাঁর এই ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্টে পাওয়া যাবে খিচুড়ি, ডিম সিদ্ধ, রুটি, বিরিয়ানি সহ আরো বেশ কিছু খাবার।
এমনকি ফুল প্লেট হাফ প্লেট হোক কিংবা পার্সেল যেমন চাইবেন তেমনই পাবেন। রবীন্দ্র ভবনের নিকট সকালে আর তালতলা বাজার এর কাছে বিকেলে স্কুটি নিয়ে পৌঁছে যাবেন শারমীনা। সঙ্গে থাকবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে রান্না সুস্বাদু সব খাবার দাবার। ক্রেতাদের জন্য খাবার চেখে দেখার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। চেখে দেখে যদি পছন্দ হয় তবেই নিতে পারেন খাবার।
শারমিনা নামক এই গৃহবধূর স্বামী একটি বেসরকারি ব্যাংকে কাজ করেন। বেতন খুব বেশি নয়। তাই স্বামীকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে সম্পূর্ণ নতুন পেশায় প্রবেশ করলেন শারমিনা। বর্তমানে শুধুমাত্র একার প্রচেষ্টায় কাজ করতে হয় বলে একেবারে ভোর চারটে নাগাদ উঠে পড়তে হয় ঘুম থেকে। আজই জীবন যুদ্ধের প্রথম দিনের পথ চলা শুরু।
এক দিনেই ক্রেতাদের থেকে ভালই ফিডব্যাক পাচ্ছেন তিনি। যদি রান্নায় কোন ভূল-ত্রূটি থাকে তাহলে সে সব দূর করার চেষ্টা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।