প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ৪ নভেম্বর
বর্ধমানে এসে অর্থনীতির এক নতুন তত্বের কথা শোনালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন,‘ দেশী গরুর আমাদের অর্থনীতির অঙ্গ । দেশী গরুর কুঁজে সোনা থাকে । তার ফলেই দেশী গরুর দুধ সোনালী রংয়ের হয় ।’ সোমবার বর্ধমান টাউন হলে ঘোষ এবং গাভী কল্যান সমিতির গোপাষ্টমী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন দিলীপ ঘোষ । তিনি এই অনুষ্ঠান মঞ্চেথেই ,“ বিদেশী গরু ত্যাগ করে দেশী গরুর উপর বিশ্বাস রাখার বার্তা দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি ।” একই সঙ্গে দিলীপ বাবু এদিন সাফ জানিয়েদেন ,‘ ভারতবর্ষের মাটিতে যারা গরুকে অপমান করবে, গরুর মাংস খাবে তাঁদের ওনারা মহা অপরাধী ও সমাজবিরোধী হিসাবেই দেখবেন। ’ । দিলীপ ঘোষের এইসব তত্ব কথা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে ।
গরু নিয়ে অর্থনৈতিক তত্ব তুলেধরার পাশাশাশি পশ্চিম বাংলায় গরুর অবস্থান কি তারও ব্যাক্ষ্যা এদিন দেন দিলীপ ঘোষ । তিনি বলেন ,বাংলায় গরুর প্রতি বিদ্বেষ তৈরি করা হয়েছে। যারা গরু প্রতিপালন করেন তারা নিম্নমানের মানুষ অর যারা গোমাংস খায় তাঁদের উঁচু জাতের মানুষ বলে মনেকরা হয় । কিছু শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী লোক আবার কলকাতার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরুর মাংস খায় ।ওই গোমাংস ভোগীদের শরীর ভাল রাখার জন্য দিলীপ বাবু কুকুরের মাংস খাবার উপদেশ দেন ।
গাভী কল্যান সমিতির অনুষ্ঠান শেষ করে দিলীপ ঘোষ টাউন হলেই বিজেপির জেলা শিক্ষক সম্মেলনে যোগদেন । শিক্ষক সম্মেলনে তিনি বর্তমান রাজ্য সরকারেরের বিরুদ্ধে শুর চড়ান । দিলীপ বাবু বলেন ,রাজ্য সরকার সবদিকেই ব্যর্থ। এই সরকার শিক্ষকদের প্রাপ্য সন্মান টুকু দেয়না । শিক্ষক মৃত্যু নিয়ে গোঁজামিল তদন্ত হয় । এই সরকারের এবার বিদায় নেবার সময় হয়ে গেছে। এনআরসি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন ,
আসামে এনআরসি হয়েছে বলে এখানে কেউ কেউ চোখের জলে ভাসছেন। কাশ্মীরে যারা মারা গেছেন তারা ধর্মে মুসলমান হলেও হঠাৎ করে বাঙালি হয়ে গেলেন। অথচ গুজরাটে কেউ মারা গেলে তখন বলা হয় মুসলমান মারা গেছে।দিলীপ বাবুর দাবী এই সব কিছুই রাজনৈতিক দ্বিচারিতা।