কালী পুজোর আগের দিন রাতে খুন হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের আঝাপুর নিবাসী মহিলা আইজীবী মিতালী ঘোষ । তদন্তে নেমে ঘটনার আটদিন বাদ পুলিশ খুনের ঘটনায় জড়িতদের নাগাল পায় । ধৃত গ্রামেরই দুই যুবক প্রশান্ত ক্ষেত্রপাল ও সুজীত ঘোড়ুইকে সোমবার পেশ করা হল বর্ধমান আদালতে ।‘পুলিশের দাবী নিহত মহিলা আইনজীবীর খোয়া যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই দুই অভিযুক্তকে ধরা সম্ভব হয়েছে ।সেই মোবাইল ফোনের হদিশ এখনও না মিললেও মিতালী ঘোষের বাড়িথেকে চুরি যাওয়া টাকার মধ্যে কয়েক হাজার টাকা সুজীত ঘড়ুই ও প্রশান্ত ক্ষেত্রপালের বাড়ি থেকে পাওয়া গেছে। ’আইনজীবীর গা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া গহনা সহ অন্য জিনিসপত্র উদ্ধার ও ঘটনার পুনর্নিমানের জন্য তদন্থকারী অফিসার ধৃতদের ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানান। বিচারক ধৃতদের ১০ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে , খুনের ঘটনা সামনে আসার পরথেকে মিতালীদেবীর খোয়া যাওয়া মোবাইলটি বন্ধ দেখাচ্ছিল। বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই ফোনটিকে ‘নজরদারি’র মধ্যে রাখা হয়। শনিবার রাতে হঠাৎতই ‘সিম-বিহীন’ মোবাইল ফোনটি কিছুক্ষণের জন্যে ‘অন’ হয়। এরপর ওই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই প্রথমে প্রশান্ত ক্ষেত্রপাল ও পরে সুজীত ঘড়ুই কে ধরা সম্ভব হয় । পুলিশের দাবি, ফরেন্সিক দল প্রাথমিক রিপোর্টে কী ভাবে মিতালী ঘোষ খুন হতে পারে তার একটা ধারণা দিয়ে গিয়েছিল। ধৃতদেরকে জেরা করে ফরেন্সিক দলের ধারণা হুবুহু মিলে যাচ্ছে।