আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের রায়নায়

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

পূর্ব বর্ধমান:-অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের  রায়নায়।সোমবার দুপুরে বর্ধমান আরামবাগ রোডের জামুই মোড়ের কাছে ধান জমি থেকে দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জমির মধ্যে মাঝবয়সী ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।রায়না থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।মৃতের গলায় কাটা চিহ্ন আছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, জামুই গ্রামটি বর্ধমান আরামবাগ রোডের ধারে রায়না থানার  সেহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত  । স্থানীয় ফকিরপুর নিবাসী সুকদেব চক্রবর্তীর ধান জমি রয়েছে জামুই গ্রামে   বর্ধমান আরামবাগ রোডের ধারে । ওই জমি ও তার চারপাশের  সব জমি  এখন  ভর্তি রয়েছে  ধানগাছে । স্থানীয় রেজাউল চৌধুরী বলেন , ওই জমি থেকে এদিন বিশ্রী  দুর্গন্ধ ছড়াতে  শুরু করে । পরে স্থানীয়দের নজরে আসে জমির ভিতর উবুর করে  শোয়া অবস্থায় এক ব্যক্তির   মৃতদেহ পড়ে আছে । এমনটা দেখেই  এলাকাবাসী  খবর দেয় রায়না থানায় ।দ্রুত   ঘটনাস্থলে পৌছায় সেহারাবাজার ফাঁড়ি ও রায়না থানার পুলিশ । 

মৃতদেহটি উদ্ধারের সময়ে  পুলিশ কর্তারা দেখেন  মৃত ব্যক্তির গলায়  ধারাল অস্ত্রের আঘাতের গভীর খত রয়েছে ।  এছাড়াও তাঁর দুই ভুরুর মাঝের অংশেও রয়েছে কোপানোর খত । পরনে প্যান্ট থাকলেও  টি- শার্ট ও একটি চশমা পড়েছিল  মৃতদেহের পাশে ।  মৃত ব্যক্তি  জামুই এলাকার নন বলে এলাকাবাসী পুলিশকে জানিয়েদেয় । মৃত ব্যক্তির শরীরে থাকা আঘাতের খত দেখে পুলিশ কর্তারা  এটি একটি খুনের ঘটনা বলেই মনে করছেন । পুলিশের প্রথমিক অনুমান , বুলবুলের প্রভাবে গত শুক্র ও শনিবার দিনভর  অবিরাম ঝোড় হাওয়া ও তারসঙ্গে বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছিল ।

 দুস্কৃতিরা অন্য কোথাও এই ব্যক্তিকে খুনকরে রাতের অন্ধকারে ওই সময়ের ঝড় বৃষ্টির মধ্যে ধান জমির মধ্যে ফেলেদিয়ে পালিয়েছে বলে  মনেকরছেন পুলিশ ও গ্রামবাসীরা  । তদন্তে নেমে পুলিশ মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। একই  সঙ্গে পুলিশ খুনিদের হদিশ উদ্ধারে কাজ  শুরু করেছে । 

See also  এ যেন 'অকাল বোধনে'র অকাল বোধন

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি